শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নয়াদিল্লি

আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ২১:৫৩

ভারত থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে 'পুশ-ইন'-এর খবরের মধ্যে নয়াদিল্লি বলেছে, যারা অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছেন, তারা বাংলাদেশি নাগরিক হোক বা অন্য কেউ, আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেন।

জয়সওয়াল বলেন, 'আমাদের এখানে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক আছেন যাদের নির্বাসন প্রয়োজন।' তিনি জানান, 'আমরা বাংলাদেশকে তাদের জাতীয়তা যাচাই করতে বলেছি।' এছাড়াও, দেশটিতে বসবাসকারী ২,৩৬০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তারা প্রস্তুত বলে জানান তিনি। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও জানান, তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে অনেকেই কারাদণ্ড ভোগ করেছেন, কিন্তু ২০২০ সাল থেকে জাতীয়তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় তাদের নির্বাসন বিলম্বিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশি পক্ষকে দ্রুত যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান, যাতে নির্বাসন প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যায়।

৮ মে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী জানিয়েছিলো, তারা অন্তত ১২৩ জনকে আটক করেছে। বাংলাদেশ জানায়, ভারত কোনো কাগজপত্র ছাড়াই এই মানুষদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রোহিঙ্গা এবং বাংলাভাষী মানুষও ছিলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম স্ক্রল ইন জানিয়েছে, একজন ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তা এই খবরের সত্যতা কিছুটা মেনেছেন। ঘটনা স্বীকার করে তিনি বলেছেন, ‘ভারত থেকে পাঠানো কিছু মানুষকে বাংলাদেশ আটক করেছে, তবে ঠিক কতজন তা নিশ্চিত না।’ এর দু’দিন পর, ১০ মে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, রাজ্য সরকার রোহিঙ্গা এবং অন্য ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’দের বিরুদ্ধে মামলা না করে সরাসরি বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।’

এদিকে, বাংলাদেশ বলেছে, যাদের জোর করে দেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন ভারতীয় নাগরিকও ছিল। কিন্তু ভারতের গুজরাট পুলিশ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলেছে, এমন কিছু ঘটেনি।

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার ফয়সাল মাহমুদ বলেছেন, ‘যেসব মানুষ কোনো ধরনের নিয়ম-কানুন বা সরকারি পদ্ধতি ছাড়াই বাংলাদেশে ঢুকেছে, তাদের পরিচয় আমরা এখনো নিশ্চিত করতে পারিনি।’ তথ্যসূত্র: স্ক্রল ইন

ইত্তেফাক/টিএস