টানা বর্ষণে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টাসহ বেশ কিছু এলাকার রাস্তা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা। টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি। জরুরি যোগাযোগের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে গতকাল শনিবার নগরীর হাওয়া পাড়া, রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, ইলেক্ট্রিসাপ্লাই, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, উত্তর বাগবাড়ী এলাকা, মিরাবাজার, সুরমাতীরের মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, বিমানবন্দর, চৌকীদেখী, শাহপরাণ, কদমতলী ও সংলগ্ন এলাকায়, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর ইত্যাদি এলাকার রাস্তাগুলো পানির নিচের তলিয়ে যায়। এসব স্থানের কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি জমতে দেখা গেছে।
এদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে ডাউকি নদীর পানি বেড়ে জাফলং পর্যটন স্পট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জাফলংয়ের টুরিস্ট পুলিশ ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, জাফলংয়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। নদীর পানি বাড়ছে। তাদের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তবর্তী উঁচু এলাকায় সবজির চাষ করা হয়েছিল সেগুলোর ক্ষতির আশঙ্কা আছে। সড়ক প্লাবিত হওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে ভোগান্তি বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি জানান, সবজি এবং আউশ ধানের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয় ৩০০ মিলিমিটার। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে সারী, গোয়াইন ও পিয়াইন নদীর তিন পয়েন্টের পানি বেড়ে বিপত্সীমার কাছে পৌঁছেছে। ডাউকি নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ভেসে গেছে। গতকাল সকালে গোয়াইনঘাট রাধানগর সড়কের কিছু অংশে পানি ওঠায় যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।