বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমে স্রোতে ভেসে যায় তিন বোন, একজনের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, ১৪:৩৪

মায়ের সঙ্গে নদীতে গোসলে নেমেছিল তিন বোন। সেখানে বল নিয়ে খেলায় মেতেছিল তারা। হঠাৎ হাত ফসকে বলটি স্রোতে ভেসে যায়। বল ধরতে গিয়ে একসঙ্গে তিনবোনই ভেসে যায় স্রোতের টানে। তারপর স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ ছিলেন একজন। সবশেষ ৩৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে তার মরদেহ।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের মুশকিলাহাটী এলাকায়। মারা যাওয়া তৈয়বা (১০) স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মেয়েদের বাবা কামাল মিয়া পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

তারা তিন বোন হলেন- মরিয়ম (৭), তৈয়বা (১০) ও টিয়া (১৪)। 

স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে মেঘনা নদীর ভৈরব রেলসেতু এলাকায় কবিতা বেগম তার তিন মেয়েকে নিয়ে গোসল করতে যান। মেয়েরা পানিতে নেমে বল হাতে খেলছিল। এ সময় বলটি হাত থেকে ছুটে স্রোতের টানে দূরে চলে যায়। বল আনতে গিয়ে হঠাৎ তিন বোনই পানির স্রোতে ভেসে যায়। মা কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। নদীতে মেয়েদের ডুবে যেতে দেখে চিৎকার করেন তিনি। আশপাশে থাকা অন্যরা ছুটে এসে মরিয়ম ও টিয়াকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে তলিয়ে যায় তৈয়বা। খবর পেয়ে নদীতে তল্লাশি চালান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।

সবশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে নদীতে ভেসে ওঠে তৈয়বার মরদেহ।

তৈয়বার বাবা কামাল মিয়া বলেন, আমার মেয়েরা ভালো করে সাঁতার জানত না। বল নিয়ে নদীতে গোসল করা আমার মেয়েদের পছন্দ। এই বলই আমার মেয়ের জীবন নিয়ে গেল।

উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আজিজুল হক। তিনি বলেন, মেঘনায় স্রোত ছিল। এ জন্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কঠিন ছিল।

ইত্তেফাক/এপি