শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশ

চলনবিলে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দিল উপজেলা প্রশাসন

আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, ১৯:৩২

আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে যায় কৃষকের ধান। সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে গুরুদাসপুরের ৪শ কৃষককে জরুরী ভিত্তিতে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে উপজেলার খুবজিপুর বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই প্রণোদনা কৃষকদের হাতে তুলে দেন। আশ্বাস দেন সরকারি অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলনবিলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া আত্রাই, নন্দকুঁজা, বেসানী, গুমানী-বড়াল নদীর পানি উপচে নিম্নাঞ্চলের গুরুদাসপুর, সিংড়া, আত্রাই, তাড়াশ শাহজাদপুর, ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর উপজেলার অন্তত ১৫টি বিলে। চলনবিলের বগুড়া জেলায় ১লাখ ৫৫হাজার ৫৯০, নাটোরে ৫৭ হাজার ৪২৫, সিরাজগঞ্জে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৫ ও পাবনার চাটমোহরে ৯ হাজার ১৩ এবং ভাঙ্গুড়ায় ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। এরমধ্যে নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর এবং পাবনার চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়ার নিম্নাঞ্চলের কয়েক শ হেক্টর জমির ধান খেতে ৬ ইঞ্জি থেকে দেড় ফিট পর্যন্ত পানি জমে।

বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার ‘চলনবিলে অকাল বন্যা, পানিতে ধান কাটতে হিমসিম কৃষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, চলনবিলের আকস্মিক বন্যায় কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সংবাদটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নজরে এসেছে। সরকারি নির্দেশনায় জরুরী ভিত্তিতে প্রণোদনা হিসেবে চলনবিলের ৪শ কৃষককে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। প্রণোদনার এই তালিকা আরো বড় হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের এই সহায়তা অব্যহত থাকবে।

কৃষকেরা বলছেন, সরিষা কেটে রবি মৌসুমে ব্রি-২৯ জাতের ধান চাষ করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের পরে ধান চাষ করায় পাকতে দেরি হয়েছে। উজানের পানি আর লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে ৫জুন থেকে ধান খেতে পানি প্রবেশ শুরু হয়। বিলের
নিচের খেতগুলো থেকে তারা অনেক কষ্টে ধান কেটে পলিথিনের নৌকায় বহন করে ঘরে তুলেছেন।

আব্দুল মমিন, নাজমুল হাসান, তারেক আলীসহ অন্তত ১৫জন কৃষক ইত্তেফাককে বলেন, বন্যার পানিতে ধানের খেত প্লাবিত হওয়ায় কিছু ধান নষ্ট হয়েছে। তবে সরকারি প্রণোদনার চাল এবং সরকারি অন্যান্য সহায়তা পাওয়ার আশ্বাসে তারা স্বস্তি পেয়েছেন।

ইত্তেফাক/এমএস