সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি ‘কল্পনারও বাইরে’: আইআরজিসি

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, ২১:১৫

ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) একজন সিনিয়র কমান্ডার বলেছেন, অপারেশন 'ট্রু প্রমিজ ৩'-এর মাধ্যমে ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার ওপর যে ক্ষতি হয়েছে, তা শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি।

সোমবার (১৬ জুন) মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এক সাক্ষাৎকারে আইআরজিসির রাজনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াদোল্লাহ জাভানি বলেন, শত্রুদের প্রাথমিক আক্রমণের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর অপারেশন 'ট্রু প্রমিজ ৩' পরিচালিত হয়, যখন ইহুদিবাদী সরকার প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতির শীর্ষে ছিল। ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার পূর্বাভাস পেয়ে তারা তাদের সমস্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে।

ইরানের হামলায় বিধ্বস্ত ইসরায়েলি ভবন। ছবি: সংগৃহীত

অপরদিকে, ইরানের কূটনৈতিক ব্যস্ততার (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা) মধ্যেও ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন জেনারেল ইয়াদোল্লাহ জাভানি।

পরবর্তীতে অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের বৈচিত্র্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকারি প্রতিবেদন নিশ্চিত করে যে, দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও আমরা ইসরায়েলি অধিকৃত অঞ্চলের আকাশসীমায় 'আরাশ'-এর মতো নতুন ড্রোন সফলভাবে মোতায়েন করেছি। এই অভূতপূর্ব বৈচিত্র্যময় প্রজেক্টাইল - যা আগে কখনো অধিকৃত অঞ্চলে এত নির্ভুলতার সাথে মোতায়েন করা হয়নি। এটি শত্রুকে সম্পূর্ণ হতবাক করে দিয়েছে।

ইরানের হামলায় বিধ্বস্ত ইসরায়েলি ভবন। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, অভিযানটি এত শক্তিশালী ছিল যে, এটি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ছিল।

ইরান যখন প্রকাশ্যে তাদের শহীদ ও আহতদের ছবি এবং সংবাদ শেয়ার করে, তখন ইহুদিবাদী সরকার সামরিক বিবৃতি, গোয়েন্দা সংস্থার বুলেটিন এবং এমনকি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হুমকির আশ্রয় নিয়েছে। তারা এটি করছে কারণ, ইরানি হামলার ক্ষতি যেন নথিভুক্তি রোধ করা যায়। এটি তাদের ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংস এবং হতাহতের প্রকৃত পরিমাণ গোপন করার প্রচেষ্টা।

ইরানি জেনারেল উল্লেখ করেন, তবুও অভিযানের বিশাল পরিধির কারণে, ইহুদিবাদী সরকার তাদের নিজস্ব জনসাধারণের কাছে সীমিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসকে