অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সিডনীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা। রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং ১৫ আগস্টে নিহত সকলের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতুর রহিম বেলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান তরুণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল খান, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের ড. খায়রুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান হৃদয়, হাসান ফারুক শিমুন রবিন, মোহাম্মদ ওবায়েদুল হক, ওসমান গনি, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক মিরাজ এবং সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম।
আলোচনায় সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে নানানভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান তরুণ তার বক্তব্যে প্রবাসে বসবাসকারী কোন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে তার লাশ রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে সমাহিত করার ব্যবস্থা করবার জন্য দাবী জানালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দাবিটি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, 'জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে চাননি, তাকে জোর করে এটা করানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আগামী বছর আওয়ামী লীগ সরকার পুরো এক বছর জুড়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করবে'।
আরও পড়ুন: কলেজ ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগ নেতার গরুর খামার
তিনি আরও বলেন, 'কামাল হোসেন, আসম রব এরা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। বঙ্গবন্ধুর ছত্রছায়া ছাড়া এরা কিছুই করতে পারত না। তাই এখন তাদের অবস্থান শুন্য'। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকে বার বার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এসে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করেছে। দেশে এখন কেউ না খেয়ে মরেনা, খাদ্য উদ্বৃত্ত আছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে'।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মন্ত্রী সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা, কবি ও লেখক আইভি রহমানের 'কিছু স্মৃতি অমলিন' এবং 'হার্ট অন ফায়ার' শীর্ষক দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা উপস্থিত ছিল, তারা মন্ত্রমুগ্ধের মত মাননীয় মন্ত্রীর মুখে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামের কাহিনী শুনছিলেন। মন্ত্রী নিজেও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে একাত্তরের উনিশে মার্চ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।আলোচনা সভা শেষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
ইত্তেফাক/ জেডএইচডি