মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টঙ্গীতে রেলক্রসিংয়ে নেই লাইনম্যান ও প্রতিবন্ধক

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:৫০

যে কোনো মুহূর্তে আসবে দ্রুতগতির ট্রেন। লেভেল ক্রসিংয়ের দুই দিকেই লাইনম্যান ও প্রতিবন্ধক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যে যার মতো পার হচ্ছেন রেলক্রসিং। টঙ্গীর বউবাজার ও মধুমিতা বাজার এলাকার সবগুলো রেলক্রসিংয়েই এ দৃশ্য হরহামেশা চোখে পড়ে। দিনে রাতে এই রেলপথ দিয়ে ১০৮-১১০ বার ট্রেন যাতায়াত করে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, টঙ্গীর বউবাজার এলাকায় দুই পাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। অনেকেই অসচেতনভাবে বসে থাকতে দেখা গেছে রেললাইনের ওপর। স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রেন দুর্ঘটনার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে রেলওয়ে ও জিআরপি পুলিশ রেলপথের আশপাশের মানুষদের সচেতন করতে হবে এবং রেলের দুই পাশে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে হবে। টঙ্গীর ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রতি মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলক্রসিং পার হতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, লেভেল ক্রসিংয়ে সতর্কতামূলক ক্রসিং গেটে গেটম্যান নেই। কোনো ধরনের নিরাপত্তা গেট বা এ জাতীয় কোনো সাইনবোর্ডও নেই। এসব এলাকায় নিরাপত্তাজনিত কোনো ধরনের বাতিও নেই। বিশেষ করে বউবাজার ও মধুমিতা এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন আসছে কি না, তার কোনো সংকেতও পাওয়া যায় না। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে রেলদুর্ঘটনা। শীত মৌসুমে কুয়াশার কারণে আরো বেশি সমস্যায় পড়তে হয় এলাকার যাতায়াতকারীদের।

অটোরিকশাচালক রিপন বলেন, বউবাজার লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যালবার ও গেটম্যান নেই। বেশ কয়েক বার এখানে ট্রেনের সঙ্গে যানবাহনের ধাক্কা লেগেছে। এখানে রেলপথে অস্থায়ী দোকান থাকায় ট্রেন আসছে কি না, তাও দেখা যায় না। ট্রেন না দেখেই যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে একটি সিগনালের ব্যবস্থা করা হলে দুর্ঘটনা কমবে।

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ‘মধুমিতা এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান ও সিগন্যাল বারের প্রয়োজনীয়তা কেউই উপলব্ধি করে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের লেভেল ক্রসিং পারাপার হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, ‘এই গেটগুলো আমাদের না। আমাদের তালিকায় এই গেটগুলো অবৈধ। তাই এটা রেলের অন্য শাখা হওয়ায় আমাদের কিছু করার নেই।’

ইত্তেফাক/টিআর