চলতি মাসের শুরুতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব থেকে অবসর নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০১৪ সালে তৃতীয় দফায় নেতৃত্ব নিয়ে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মাশরাফি। টাইগারদের ড্রেসিংরুম সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। নেতা হিসেবে তাই ঘর গোছানো, চালানোটা মাশরাফির ভালোই জানা আছে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ কঠিন সময়ে দেশবাসীর প্রতি অনেক অনুরোধ জানিয়েছেন মাশরাফি। গত সোমবার রাতে এক ভিডিওবার্তায়, পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রেরণামূলক বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি। প্রত্যেককে পরিবারের অধিনায়কের ভূমিকা নিয়ে সচেতন হতে বলেছেন ডানহাতি এই পেসার।
পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ করে মাশরাফি বলেছেন, ‘আপনার ঘরের ক্যাপ্টেন কিন্তু এখন আপনি নিজে। আপনি যদি আপনার ঘরের ক্যাপ্টেন্সি ঠিকভাবে করতে পারেন, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছুটা হলেও আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পারব। অন্যথা দুর্যোগ হওয়ার সুযোগ বেশি। তাই আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনার ঘরে থাকুন। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ’।
করোনাকে গুরুত্ব দিয়ে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে মাশরাফি আরো বলেন, ‘আমরা যেটা গুরুত্ব দিচ্ছি না সেটা যদি আকস্মিক আমাকে, আপনাকে, আপনার পরিবারকে, পরিবারের কাউকে বা সামাজিকভাবে আঘাত করে সেটা কিন্তু সামাল দেওয়া খুব কঠিন হবে। আমি আগেও বলেছি, ইতালির মতো দেশ, ইংল্যান্ড-স্পেন-চীন বলেন, সবাই কিন্তু হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমরা কতটুকু পারব তা ভাবার সময় এসেছে। কারণ দেশটা অনেক ছোটো, মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের যে করণীয় জিনিসগুলো আছে, আমরা করি।’
বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ অবস্থায় সবাইকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাশরাফি। তিনি বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের কথা আমরা সবাই জানি। অনেকেই কথা বলছি, সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানেই যাবেন দেখবেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কিত এবং আতঙ্কিত না হওয়ারও কোনো কারণ নেই। পৃথিবীর সব বড়ো বড়ো দেশগুলো এখন শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবেও বিপর্যস্ত। তারা কোনোভাবেই ট্যাকল দিতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: ইস্টার সান ডের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাভাবিক করতে চান ট্রাম্প
দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদেরও নিয়ম-কানুন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন মাশরাফি। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই প্রবাসী ভাইবোনেরা যারা বিদেশে থাকেন, আসছেন দেশে বা যারা বেড়াতে গিয়েছিলেন আর দেশে আসছেন, তাদের কিন্তু অনেক কিছু করার আছে। প্রথম হচ্ছে নিয়ম-কানুনগুলো অবশ্যই মেনে চলা। কোয়ারেন্টাইন এই শব্দটা ব্যবহার করে আমি বলব, গৃহবন্দি থাকা। সেটা পরিবার নিয়ে না, আপনি আলাদা ১৪ দিন থাকা। ১৪ দিন পার হওয়ার পরে যদি আপনি অসুস্থ না হোন তখন আপনার পরিবারকে নিয়ে ঘরে থাকা। যতক্ষণ না পর্যন্ত চিকিত্সক বা সমাজের উচ্চপদস্থরা ঘোষণা না করছেন যে, আমরা নিরাপদ, ততক্ষণ ঘরে থাকা।’
ইত্তেফাক/এসি