বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সূর্যগ্রহণের পরই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে করোনা!

আপডেট : ১৭ জুন ২০২০, ০২:৪৩

করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার করতে পারেননি কোনো বিজ্ঞানী। বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার গবেষক দিনরাত এক করে চেষ্টা করছেন করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করার। এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের প্রাণ গেছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। বাঘা বাঘা ভাইরোলজিস্ট এই ভাইরাসকে জব্দ করতে কাহিল হয়ে পড়ছেন। এ সময়ে ভারতের চেন্নাইয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. কে সুন্দর কৃষ্ণা চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। জিনিউজয়ের খবরে বলা হয়, এই বিজ্ঞানী বলছেন, সূর্যগ্রহণের সঙ্গে নাকি এই ভাইরাসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

ড. কে সুন্দর কৃষ্ণা দাবি করেছেন, আগামী ২১ জুন সূর্যগ্রহণের পর এই পৃথিবী থেকে কমতে শুরু করবে করোনার প্রকোপ। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তিনি দাবি করে বলেছেন, করোনা কোনোভাবেই রাসায়নিক ল্যাবরেটরি থেকে উত্পন্ন করা হয়নি। এটি একটি মহাজাগতিক ঘটনা। মহাকাশ থেকেই এই ভাইরাসের উত্পত্তি এবং সেটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে। চেন্নাইয়ের এই বিজ্ঞানী বলছেন, গত বছর ২৬ ডিসেম্বর ছিল সূর্যগ্রহণ। তারপর থেকেই চীনে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। অর্থাত্ সূর্যগ্রহণের পরই এই ভাইরাসের উত্পত্তি। তাই পরবর্তী সূর্যগ্রহণ অর্থাত্ ২১ জুন এই ভাইরাসের বিনাশ হবে।

আরও পড়ুন: করোনার উপসর্গে আরো ১২ জনের মৃত্যু

চেন্নাইয়ের এই বিজ্ঞানী আরো বলেছেন, ২৬ ডিসেম্বর সূর্যগ্রহণের পর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরে রাসায়নিক বদল ঘটেছিল। সেই সময়ে এই ভাইরাসের জন্ম। সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তড়িতাহত কণাগুলোর মধ্যে বড়ো রাসায়নিক বদল হয়। এই বায়ো নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশনের ফলে নিউট্রনের বদল শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভাইরাসের নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। সূর্যগ্রহণের সময় তৈরি হওয়া বায়ো নিউক্লিয়ার ইন্টারঅ্যাকশন বিভিন্ন ভাইরাস সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এই স্তরকে বলা হয় ডি লেভেল। আগামী ২১ জুন সূর্যের বলয়গ্রাস পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে। সেদিনও বায়ুস্তরে বিভিন্ন রাসায়নিক বদল ঘটবে। তখনই এই ভাইরাসের বিনাশ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

ইত্তেফাক/এসি