মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নষ্ট হয়েছে ১০ হাজার চামড়া

আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০১৯, ২০:৪০

এবার কোরবানির ঈদে সব মিলিয়ে ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে হিসাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাঠ পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে এ কথা জানানো হয়।

এর আগে চামড়া নিয়ে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ী জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে এ বছর দেশজুড়ে প্রায় ১০ হাজার পশুর চামড়া নষ্ট হয়েছে। গণমাধ্যমে পশুর চামড়া পুঁতে ফেলার যে দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে তারা উল্লেখ করেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এর মাধ্যমে দেশের উদীয়মান চামড়া শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি ঠেকানো এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই ব্যবসায়ীরা। তারা ভবিষ্যতে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে যে কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন, জেলা পর্যায়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও অভিজ্ঞ চামড়া শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন।

আরো পড়ুন: একটি সেতুর জন্য গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

এদিকে বৈঠকে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নেন সোমবার থেকে কাঁচা চামড়া বেচা-কেনা শুরু করার। একই সঙ্গে ট্যানারি মালিকরা আগামী তিন মাসের মধ্যে সংগৃহীত কোরবানির পশুর চামড়া কেনার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা আড়তদারদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয়েও আশ্বস্ত করেন। অন্যদিকে আড়তদাররা দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রতি আস্থা রেখে ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া সরবরাহের নিশ্চয়তা দেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, উদীয়মান চামড়া শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় বর্তমান সরকার সম্ভব সব ধরণের নীতি সহায়তা দেবে। সরকার চামড়া ব্যবসার নামে কাউকে জিম্মি করতে দেবে না।

ইত্তেফাক/জেডএইচ