শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রথম অধিবেশনেই অশ্রুসিক্ত শেখ হাসিনা

আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩৪

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনেই সংসদে পাশ খওয়া শোক প্রস্তাবে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেওয়াজ অনুযায়ী বুধবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে শোক প্রস্তাব পাশ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফসহ বিগত সংসদ থেকে এ সংসদের মধ্যবর্তী সময়ে যারা মারা গেছেন তাদের জন্য শোক প্রস্তাব উথাপন করা হয়।

পরে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফের উপর আলোচনায় অংশ নেন সাংসদরা। আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে প্রথমেই বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। এরপর একে একে আরও কয়েকজন সংসদ সদস্য বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।

আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, 'আমাদের জীবন বড় বিচিত্র। আমাদের আপনজন হারিয়ে এই শোক প্রস্তাব করতে হয়। আমি সৈয়দ আশরাফকে ছোটবেলা থেকেই চিনি। আমার পরিবারের সদস্য। কামালের সঙ্গে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আমি আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। সেসময় আশরাফ আমাদের সঙ্গে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে। ও আমাকে বড় বোনের মতই জানতো। ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর যারা আওয়ামী লীগে ছিলেন তারা প্রত্যেকেই একটা দু:সময়ের মধ্যে কাটিয়েছেন। আমিই ৯৬ সালের আশরাফকে দেশে নিয়ে আসি। দেশে এসে রাজনীতি করতে বলি। যখনই তাকে কোন দায়িত্ব দিয়েছি। সে সুনিপুনভাবে তা পালন করেছে। সবসময় পড়াশুনার মধ্যেই থাকতো। আশরাফ এত সহজ সরল ছিল। আমরা যখন লন্ডনে ছিলাম ওকে কল দিয়ে আমাদের বাসায় আসতে বলতাম ভালো রান্না হলে। ও বলতো ট্রেনের তো ভাড়া নেই। তখন বলতাম কোনভাবে ম্যানেজ করে আসো। তারপর দিয়ে দিবো। তার বোনকে আমরা নমিনেশন দিয়েছি। আমরা এতটুকু বলবো তার স্মৃতি সবসময়ই আমাদের মাঝে থাকবে। আমরা সবসময় তার কথা মনে রাখবো'।

আরও পড়ুন:  ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১১ রানে হারালো চিটাগাং ভাইকিংস

সৌয়দ আশরাফকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বারবার থেমে যান প্রধানমন্ত্রী। আবেগাপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, 'মাননীয় স্পিকার, আমার কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে'। এর কিছুক্ষণ পরই দ্রুত নিজের বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

ইত্তেফাক/জেডএইচডি