শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দুই বছরেই পূর্বাচলে হবে ‘দ্য বোট’

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:০৪

স্পোর্টস রিপোর্টার

‘দ্য বোট’ তথা নৌকার আদলে পূর্বাচলে নির্মিত হবে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দুই বছরেই ক্রিকেট বিশ্বের আইকনিক এই স্টেডিয়াম নির্মাণের আশা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নামমাত্র মূল্য (১০ লাখ টাকা) পাওয়া ৩৭ একর জমিতে আগামী শীত মৌসুমেই স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু করতে চায় বিসিবি।

নিজস্ব অর্থায়নে এই স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। গতকাল বিসিবি কার্যালয়ে পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম গতকাল বলেছেন, শুরু করার দুই বছরের মধ্যেই শেষ করা হবে নির্মাণ কাজ।

সভা শেষে বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি কাজ শুরুর দুই বছরের মধ্যেই শেষ করব।’ আর দৃশ্যমান কাজ শুরুর সময়সীমা নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামের ফিজিক্যাল কাজ আগামী শীত মৌসুমের আগে করা হবে না।’

স্টেডিয়ামের বাহ্যিক রূপ ‘দ্য বোট’ বিসিবি তৈরি করেছে। স্টেডিয়ামে কি কি সুযোগ সুবিধা থাকবে, সেসবও ঠিক করা হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই স্টেডিয়ামের পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন করানোর জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করবে বিসিবি।

গতকাল প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘এই ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার স্টেডিয়াম তৈরিতে অভিজ্ঞ কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া হবে। সেটা ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া মানে বাইরের দেশ থেকেই হবে। তারা ডিজাইনটা করে দিবে। তারপর নির্মাণ কাজ করার জন্যও টেন্ডার হবে। যারা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজটা করবে। এটা দেশি-বিদেশি কোম্পানির সমন্বয়েও হতে পারে। তবে আমরা বাইরের কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দিবো।’

স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি দ্রুতই কাজ করবে। প্রতি সপ্তাহেই মিটিংয়ে বসতে পারে এই কমিটি। যেখানে মাহবুব আনাম, জালাল ইউনুস ছাড়াও বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, শেখ সোহেল রয়েছেন। প্রয়োজনে বিসিবির অন্য পরিচালকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গতকাল জালাল ইউনুস বলেছেন, এই কমিটিতে বুয়েটের একজন শিক্ষক, অডিট প্রতিষ্ঠান, আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রথম কয়েকটি মিটিং নিজেরা করলেও ২-১ মাসের মধ্যেই এই নিয়োগ সম্পন্ন হবে।

বিসিবির বোর্ড সভায় গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজাইনের কাজ করবে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া বিদেশি কোম্পানি। মূল মাঠের বাইরে একটি একাডেমি হবে। যার আলাদা মাঠ থাকবে। ইনডোরও তৈরি করা হবে। সবমিলিয়ে ডিজাইনের কাজ শেষ হলেই এই প্রকল্পের ব্যয় সম্পর্কে জানাবে বিসিবি।

এপ্রিলেই পূর্বাচলে জমির দখলে যাবে বিসিবি। গতকাল মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘এই মাসের মধ্যেই আমরা মাঠের পজেশনে কাজ করব। পজেশন পেলেই আমাদের কাজ গতি পাবে। মাঠটি সুরক্ষা করা, একটা সাইট অফিস করা, অন্যান্য যেই পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো সামনের দিকে আগাবো।’

বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনাই করছে বিসিবি। মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছে এই স্টেডিয়ামটা এমন একটা স্টেডিয়াম হবে যেটা শুধু এই অঞ্চল কেনো, পুরো বিশ্বের মধ্যে সুন্দর স্টেডিয়াম হবে। যেহেতু এটা গ্রিন ফিল্ড স্টেডিয়াম, সেহেতু এখানে আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’