মুখ খুললেন নেইমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা ব্রাজিলীয় মডেল নাজিলা ত্রিনদাদে মেন্ডেস ডি সুজা। একটি ভিডিও প্রকাশ করে তিনি দাবি করেছেন, বার বার নিষেধ করার পরও আগ্রাসী হয়ে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করেন নেইমার।
ব্রাজিলের টিভি চ্যানেল এসবিটিকে নাজিলা জানান, নেইমারের সঙ্গে যৌন মিলনে তার প্রথমে সম্মতি ছিল। তবে নেইমারের কাছে কোনও কনডম না থাকায় পরে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন এবং জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করেন নেইমার, এমনটিই দাবি তরুণীর।
নাজিলা বলেন, ‘যখন ওকে (নেইমার) জিজ্ঞেস করলাম, কনডম এনেছে কিনা? সে বলল, না। আমিও তাকে বললাম তাহলে কিছু হবে না। কিন্তু সে কথা শোনেনি। তারপর আমি তাকে বললাম থামো, থামো! কিন্তু সে থামেনি।’
আরও পড়ুন : বিএসএমএমইউ’তে বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কেবল বিচার চাই। ও আমাকে মানসিকভাবে আঘাত করেছে। আমি ওর কৃতকর্মের শাস্তি চাই।’ ঘটনা সম্পর্কে তরুণীকে জিজ্ঞাসাবদ করা হয় যে সেটা ধর্ষণ না আগ্রাসন? তখন তিনি উত্তরে বলেন, ‘আগ্রাসনের সঙ্গে ধর্ষণ ছিল।’
প্যারিসের হোটেলের একটি ভিডিও ফুটেজও এরপর প্রকাশ্যে আসে। পুরো ভিডিওটি প্রায় সাত মিনিটের হলেও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এক মিনিটের কম। নেইমার যে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন ভিডিওতে অবশ্য তেমন দৃশ্য নেই। বরং দু’জনকে প্রথমে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। এরপর হঠাৎই ওই নারীকে নেইমারের উপর আঘাত করতে দেখা যায়। পরে নেইমারও অবশ্য পাল্টা আঘাত করেন। তবে সেই ভিডিওটি প্যারিসের হোটেলের সেই দিনের কি না তা নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা হয়নি।
প্যারিসের হোটেলে মদ খেয়ে স্বদেশী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেন নেইমার। এমনকি প্রমাণ দিতে গিয়ে তরুণীর অশালীন ছবি প্রকাশ্যে আনেন ব্রাজিলীয় তারকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্রাজিলের পুলিশ। রিও ডি জেনিরোর সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একজন বিশেষজ্ঞ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, বিনা অনুমতিতে কারও ছবি তোলা আর তা প্রকাশ্যে নিয়ে নিয়ে আসা অপরাধ।
ইত্তেফাক/কেআই