বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অতিথি পাখিতে মুখরিত হাকালুকি হাওর

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৪৯

কুলাউড়ায় হাকালুকি হাওর এখন অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত। প্রতি বছরের মতো এবারও শীতে অতিথি পাখি বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে এই হাওরে আসে। গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষ ভাগে এই হাওরে আসতে শুরু করে পাখিগুলো। বর্তমানে লেঞ্জা, খুন্তিহাঁস, চকাচকি, সরালি, পিয়াং হাঁস, ভুতি হাঁস, কালো কুট, পাতি ভুতিহাঁস ও সিতি হাঁস হাওরে অবস্থান করছে।

জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ি, বড়লেখা এবং সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে গঠিত হাকালুকি হাওর। এই হাওরের ১১১টি মৌজায় রয়েছে ২৩৮টি সরকারি খাস বিল।

হাকালুকি হাওর তীরের অধিবাসী আব্দুর রৌফ, সায়াদ মিয়া, বটলাই মিয়া, ভুট্টো মিয়া, সামছু মিয়া জানান, এই বছর হাকালুকি হাওরে অতিথি পাখির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। তবে চকিয়া, হাওয়াবর্ণা, ফুটবিল, গৌড়কর্ণি, নাগুয়ালরিবাই প্রভৃতি বিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। এই বিলগুলোতে এই বছর ফিশিং হচ্ছে না।

পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কম প্রসঙ্গে হাওর তীরের বাঁধে ভুকসিমইল গ্রামের অধিবাসী ও রসুলগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন, ‘হাওর তীরে বোরো ধান চাষ কম হওয়ায় পাখির খাদ্যসংকট রয়েছে। ভিন্ন একটি সূত্র জানায় কাংলি, গোবরকুড়ি বিল দুটি মাছের অভয়াশ্রম। ফলে এই দুটি বিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেশি এবং তাদের কিচিরমিচির শব্দ শোনা যায়।’ এলাকাবাসী জানান, পাখি শিকারিরা সুযোগের সন্ধানে আছে। পাহারা আরো জোরদার করা প্রয়োজন।

উপজেলা মত্স্য অফিসার আজহারুল আলম জানান, ভিসিজির সদস্যরা অবৈধভাবে মাছ ও পাখি শিকারিদের প্রতিহত করতে সক্রিয় রয়েছেন। ২০০৩ সালে বিষ টোপ দিয়ে পরিযায়ী পাখি নিধনের ফলে পরবর্তী বছরগুলোতে পরিযায়ী পাখির আগমন কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল।

আরও পড়ুন: গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারীর অবদান

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম ফরহাদ চৌধূরী জানান, এখন পর্যন্ত পাখি শিকারের কোনো খবর তিনি পাননি। পরিযায়ী পাখি যাতে নিরাপদে হাওরে থাকতে পারে সে ব্যাপারে তিনি সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন।

ইত্তেফাক/এসআর