স্কুলছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বখাটেরা। একই সঙ্গে লোহার রড, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়েছে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ও ভাইকে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঘা-লালপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকার সুলতানপুর-মুনিহারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম নাজমুল হক (২৮)। তিনি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে এবং সম্পর্কে ওই স্কুলছাত্রীর মামা। অভিযুক্তর নাম সুমন (১৯)। তিনি লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আরজেত আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুমন একই গ্রামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়ে তাকে একাধিকবার সর্তকও করা হয়েছিল। গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি ফেরার সময় সুমন হাত ধরে টানা হেঁচড়া করে। এ ঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে সুমনকে সতর্ক করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ও ভাই।
ভাই জানায়, সন্ধ্যায় বাবা মহিহারপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ভোলার মোড়ে সুমনসহ তার লোকজন বাবাকে মারপিট করে। খবর পেয়ে আমি ও মামা নাজমুল হক মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত ঘটনা স্থলে যাই। সেখানে পৌঁছা মাত্র সুমনের নেতৃত্বে মিন্টু, পানা, রানা, সুলতান, সম্রাট, আরিফ, কামরুল, মিঠু ও নাজমুল আমাদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে এবং মামার দুই হাতের কবজিতে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতকে লজ্জায় ডুবালো অস্ট্রেলিয়া
পরে এলাকার লোকজন বাবাকে লালপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিছু সংখ্যক লোক মামা ও আমাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুনাহার কান্তা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নাজমুল হক পথেই মারা গেছেন। অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মামলা প্রস্তুতি চলছে।
ইত্তেফাক/এসি