বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তিস্তার পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙন

আপডেট : ২১ জুন ২০২০, ১৭:৫৭

তিস্তার পানি কমতে থাকায় রংপুর বিভাগের চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রবিবার  সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গত শনিবার (২০জুন) ভোর থেকে পানি প্রবাহ কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছিল। দিনভর বিপদসীমা ওপর দিয়ে পানি প্রবাহের ফলে বিভাগের রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৯ জুন) রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বামতীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। তবে রাতে পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।

আরও পড়ুন: রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংরক্ষণ কাজে অনিয়ম, জিও ব্যাগে বালুর বদলে মাটি

এ দিকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। তিস্তার বাম তীরের সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।

তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত থেকে বাড়তে থাকলেও রবিবার থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। 

ইত্তেফাক/এসি