শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গাইবান্ধায় বন্যায় ভেসে গেছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার মাছ

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২০, ২২:৩৯

লাগাতার তিন দফা বন্যায় গাইবান্ধার ৭ উপজেলার ছোট-বড়ো ৯৪৩টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ৬৭৭ জন মৎস্য চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গাইবান্ধা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বন্যায় প্রায় চার কোটি ১০ লাখ টাকার মাছ ও ১২ লাখ টাকার পোনা মাছ বানের জলে ভেসে গেছে। এছাড়া পুকুরের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকার। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় চার কোটি ৩৯ লাখ টাকা। 

সুত্রটি আরও জানান, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুলছড়ি ও সাঘাটার মৎস্য চাষীরা। ফুলছড়ি উপজেলার ৩১৬টি পুকুর, সাঘাটায় ২০০টি পুকুর, সুন্দরগঞ্জে ১৯৫টি, গোবিন্দগঞ্জে ১৩০টি, সাদুল্লাপুরে ৫৫টি ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ৫টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। 

ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া এলাকার মৎস্য চাষী বাদল চন্দ্র দাস জানান, ঋণ নিয়ে এ বছরে দেড় একর আয়তনের পুকুরে মাছ চাষ করেছিল। বন্যার পানিতে তার পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। এতে তার প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

একই উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবি চাষী খলিলুর রহমান জানান, হঠাৎ করে পানি এসে পুকুরের পাড় ভেঙে গিয়ে প্রায় চার লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। 

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হদিস মেলেনি দুইশ ফার্মেসির, লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ

গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী গ্রামের মৎস্য চাষী টিপু মিয়া জানান, পুকুর পার জাল দিয়ে ঘেরা দিয়েও মাছ আটকানো সম্ভব হয় নাই। ফলে প্রায় ছয় লাখ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। 

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষীরা জানান, এই ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে মৎস্য বিভাগের কাছ থেকে স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা ও বিনামূল্যে মাছের পোনা সরবরাহ না করলে পথে বসতে হবে। 

গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান জানান, মাছ চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষীদের প্রদান করা হবে।

ইত্তেফাক/এসি