বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চীনের অর্থ সহায়তার তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৪২

বর্ষায় বন্যা আর শুকনো মৌসুমে পানির অভাব-তিস্তা অববাহিকার করালগ্রাসী রূপ কয়েক দশকের। বহু আন্দোলন আর দাবির পর ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হলেও ন্যায্য হিস্যা পায় না বাংলাদেশ। তাই বর্ষার পানি ধারণ করতে এবার নিজেরাই মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দুই বছরের সমীক্ষায় সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা অর্থ সহায়তার প্রস্তাবনা দিয়েছে চীন। শিগগিরই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরুর আশা সংশ্লিষ্টদের। 

দেশের তিস্তা নদীর ১১৩ কিলোমিটার অববাহিকার পুরোটাই নেওয়া হয়েছে এই মহাপরিকল্পনায়। কৃত্রিম জলাধারে বর্ষা মৌসুমের পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সারা বছরের চাষ আবাদের লক্ষ্যে ট্র্যাডিশনাল কৃষির পরিবর্তে গড়ে তোলা হবে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা। তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং নদীকেন্দ্রিক টেকসই উন্নয়নে চীনের সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প। 

টেক্সটাইল,গার্মেন্টস, কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানায় বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগসহ সব আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন অর্থনৈতিক জোন, শিল্পপার্ক গড়ে উঠবে। আর কয়েকটি স্যাটেলাইট টাউন হবে প্রকল্প এলাকায়। পরিবেশগত জীবিকা আর জনমুখী শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য। জলজ প্রাণ-প্রাচুর্য, পরিবেশ-প্রতিবেশ সবকিছুই থাকছে পরিকল্পনায়।

আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রংপুর তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক রংপুরের বাম রাজনৈতিক নজরুল ইসলাম হাক্কানী বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতিপ্রসাদ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সরকারের নেওয়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এখানে আমূল পরিবর্তন আসবে। সেই সঙ্গে ফসল উৎপাদনে কৃষকের খরচও কমে আসবে।’

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার বলেছেন, ‘কৃষকের পানি সমস্যার সমাধান হবে। একই সঙ্গে মাছ চাষও অব্যাহত থাকবে।তিস্তা নদী সমন্বিত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে চীন। সেটির বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় তিস্তা পাড়ের লাখো মানুষ।’

ইত্তেফাক/এএএম