শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ময়নাতদন্তে লাশের পেটে মিলল ১ হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা

আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:১৬

রাজশাহীতে ময়নাতদন্তে লাশের পেটে মিলেছে ১ হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা। পাকস্থলিতে করে ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান। সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে আবদুস শুকুর (৩৭) নামে ওই ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। 

শুকুরের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়ায়। তার বাবার নাম মোক্তার আহমেদ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে শুকুর রামেক হাসপাতালে মারা যান। পরে ময়নাতদন্তের সময় তার পেট থেকে ৩১টি প্যাকেটে থাকা ইয়াবা উদ্ধার হয়। 

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। পাবনার স্থানীয় তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছে ১৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল এদের কাছে অনেক বেশি ইয়াবা আছে। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে ইয়াবা আছে শুকুরের পেটের ভেতর।

তাই তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন যে শুকুরের পেটে ইয়াবা আছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোন ব্যবস্থা তাদের কাছে নেই। তাই তারা শুকুরকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাকে রামেক হাসপাতালের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পুলিশের হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছিল। রবিবার রাতে শুকুর মারা যান। 

আরো পড়ুনহাসপাতালে রোগীর খাদ্যনালী কেটে দিল নার্স

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানান, জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃত শুকুরের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এ সময় শুকুরের পাকস্থলিতে ইয়াবার ৩১টি প্যাকেট পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট ঠিক ছিল। বাকি ১৫টি প্যাকেট ফেটে ইয়াবা বড়ি গলতে শুরু করেছিল। ফলে সেগুলো গণনা করা যায়নি। তবে ভাল থাকা প্রত্যেক প্যাকেটে ৫০ পিস করে ইয়াবা বড়ি পাওয়া গেছে। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে যে ৩১টি প্যাকেটেই ৫০ পিস করে ইয়াবা ছিল। মোট ইয়াবা বড়ির সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০টি। পাকস্থলিতে এত বেশি সংখ্যক ইয়াবা গলে যাওয়ার কারণে শুকুরের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।


ইত্তেফাক/ইউবি