মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ জেলার হাসপাতালে ৭ বছর ধরে তালাবদ্ধ আইসিইউ

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০১:৪১

করোনা মহামারিতে আইসিইউ বেডের জন্য যখন রাজধানীসহ সারাদেশে হাহাকার, তখন মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ঝুলছে তালা। দুই বেডের এই আইসিইউ বিভাগে যন্ত্রপাতি অলস পড়ে থাকলেও, দক্ষ জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে। ১৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার জেলায় আইসিইউ সুবিধা না থাকায়, মুমুর্ষ রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে জরুরী এই সেবা থেকে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের নিজ জেলা মানিকগঞ্জ হলেও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের উদ্বোধনের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও তালাবদ্ধ সিসিইউ।ফলে কোভিড আক্রান্তসহ সাধারণ রোগীরা সিসিইউ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে জেলার ১৪ লাখ জনগণ।

রাজধানীতে আইসিইউ না পেয়ে একজন মুমুর্ষ রোগী নিয়ে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এসেছেন স্বজনরা। কিন্তু এখানকার আইসিইউ বিভাগটি বন্ধ। তাই জীবন বাঁচাতে স্বজনরা আবারো ছুটছেন অন্যকোথাও আইসিইউ’র খোঁজে। মানিকগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতাল ছাড়া জেলার অন্য কোন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নেই আইসিইউ সুবিধা। কিন্তু জেলার একমাত্র এই আইসিইউ বিভাগে তালা ঝুলছে দিনের পর দিন। সাত বছর ধরে ভেতরে দুটি বেডসহ যন্ত্রপাতি পড়ে থাকলেও, এর সুবিধা মিলছেনা বলে অভিযোগ রোগীদের।

জানা গেছে,গত বছর একশো’ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণার পর নতুন করে আইসিইউ সেবা চালুর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে ব্যর্থ হন। এক বছরেও হয়নি এর সমাধান। করোনা হাসপাতালে কয়েকদিন আগে সেন্ট্রাল অক্সিজেন বসলেও, আইসিইউ সেবা না থাকায় মুমুর্ষ রোগীরা এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

২০১৪ সালে দুই বেডের এই আইসিইউ বিভাগটি চালু হলেও দক্ষ জনবলের অভাবে তা আজও চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। মানিকগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন আনুয়ারুল আমীন আখন্দ বলেন, আইসিইউ অপারেট করার জন্য আমরা দক্ষ জনবলের চাহিদা পাঠিয়েছিলাম। করোনা আবার বাড়ছে আমরা দ্রুত তৎপরতা গ্রহণ করব। 

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশাদ উল্লাহ বলেন, আইসিইউর শুরু থেকেই দক্ষ জনবলের জন্য আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছি। কোভিড আসার পর নতুন করে কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। 

ইত্তেফাক/এসআই