বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নিহত

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:১৫

ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের নতুন উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে আটক করা হয় বলে খবর পাওয়া যায়। এরপর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। 

ঘটনার পর রাত ৯টার দিকে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনী জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম মাহাদি। তার শেষ কথা ছিল তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চান। আর তার হাতে একটি পিস্তল ছিল। 

এর আগে বিকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করে বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি। সেখান থেকে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিমান থেকে নিরাপদে সব যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান জানান, ঘটনার পর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযান শেষে এখন বিমান ওঠানামা স্বাভাবিক হয়েছে।

 

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে সেনা সদস্যদের অবস্থান। ছবি: ইত্তেফাক

বিমানে থাকা একজন ক্রু জানান, বিকালে ঢাকা থেকে উড়োজাহাজটি উড়ে যায়। আকাশে প্রায় ১৫ হাজার ফুট ওপরে উঠার পর যাত্রীদের আসনে থাকা এক ব্যক্তি উঠে ককপিটের দিকে আসেন। এ সময় ওই ব্যক্তি এক ক্রুর কাছে গিয়ে বলেন, আমি বিমানটি ছিনতাই করব। আমার কাছে পিস্তল ও বোমা আছে। ককপিট না খুললে আমি বিমান উড়িয়ে দেব। এটা বলে সঙ্গে সঙ্গে একটি পিস্তল ও বোমাসদৃশ একটি বস্তু বের করে ব্যক্তিটি।

আরো পড়ুন: মালিতে হামলায় জাতিসংঘের ৩ শান্তিরক্ষী নিহত

ওই ক্রু আরো জানান, এর মধ্যে অন্য কেবিন ক্রুরা ককপিটে থাকা পাইলট ও সহকারী পাইলটকে গোপনে বার্তা দেন যে, উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। ততক্ষণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে উড়োজাহাজ। এরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এ ঘটনায় বিমানের ১৩৪ জন যাত্রীর সবাই নিরাপদে আছেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচ