শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় পাটগ্রামে গৃহবধূর জীবন শঙ্কায়

আপডেট : ১৬ মে ২০১৯, ১৯:২৫

গৃহবধূকে লোভ, লালসা দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায়, গৃহবধূ কুপ্রস্তাব প্রতাখ্যান করায় এবং থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন এক গৃহবধূ। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসতী জিবুরবাড়ীতে ওই গৃহবধূর বসবাস।

পাটগ্রাম থানায় দেওয়া অভিযোগে ওই গৃহবধূ জানান, গত শুক্রবার রাতে বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় ধবলসতি মজিদেরপাড় গ্রামের মো. বাঙ্গরের ছেলে মনছুর আলী (৪৫) তার ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে শাশুড়ি জমিলা বেগম মনছুর আলীকে আটক করার চেষ্টা করেন। এ সময় মনছুর আলী গৃহবধূ ও শাশুড়িকে ঘুষি মেরে আহত করে বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।

গৃহবধূ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন প্রকার লোভ দেখিয়ে মনছুর আলী আমাকে দীর্ঘদিন থেকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমার সংসার ভাঙ্গছে। থানায় অভিযোগ দিলে বা দশ বছর জেল হলেও বের হয়ে এসে আমার নাকি সে ক্ষতি করবে। আমি স্বামী, সন্তান নিয়ে বর্তমানে জীবন মৃত্যুর আশঙ্কায় আছি।’

ধবলসতী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি জানান, ‘মনছুর আলী একজন চরিত্রহীন লোক, ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীঘটিত বিচার করা হয়েছে। সে ভালো লোক না। তার উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।’ 

পাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য রাবিউল ইসলাম বলেন, ‘মনছুর আলী গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে গৃহবধূ আমাকে জানিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে মনছুর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে মোবাইলের লাইন বারবার কেটে দেন ও ফোন রিসিভ করেও কথা বলে না।

পাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব প্রধান বেলাল জানান, ‘গৃহবধূর ঘটনাটি সরজমিনে শুনে এসেছি। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি।’

আরও পড়ুন: ঝালকাঠির কৃষকের ধান কেটে দিলো ছাত্ররা

পাটগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আলী সরকার বলেন, ‘গৃহবধূর দেওয়া অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/নূহু