শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে অসঙ্গতি, সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

আপডেট : ২২ মে ২০১৯, ২০:০৫

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী সীমা আক্তারকে (১৩) গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মোজাহিদুল ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। 

তলব আদেশে আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ওই সিভিল সার্জন। পরে আদালত ক্ষমার আবেদন নাকচ করে এ নির্দেশ দেন। 

গত বছরের ২৪ অক্টোবর রাঙ্গাবালীর সদর ইউনিয়নের সামুদাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ১৩ বছরের কিশোরী সীমা আক্তারকে। সে রাঙ্গাবালী হামিদিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সীমার মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি অভিযোগ করেন। অভিযোগটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে রাঙ্গাবালী থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দেন। পরে ১৯ জানুয়ারি অভিযোগটি রাঙ্গাবালী থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়।

আরও পড়ুন: কয়লা আমদানি শুরু, সমন্বয় হবে না দেড়শ কোটি টাকা

এ মামলার আসামি দানেশ চৌকিদার হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদনে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামি পক্ষ। সেখানে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রেজাউর রহমান প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘গলায় দাগ রয়েছে, শ্বাসরোধে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।’ এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সিভিল সার্জন।

আদালত বলেন, ‘যেখানে মেয়েটির মা ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মামলা করেছেন,  সেখানে চিকিৎসক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কিভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করেন?’

১৯ জানুয়ারি করা ওই মামলার আসামিরা হলো, সুমন চৌকিদার, দানেশ চৌকিদার, সেরাজুল চৌকিদার, নবীনূর রহমান, ছাদের চৌকিদার, ইমরান চৌকিদার, রাকিব  চৌকিদার ও মোফা। মামলার দিন আসামি স্থানীয় ইউপি সদস্য নবীনূরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া তখন অন্য মামলায় জেলহাজতে থাকা ২ নম্বর আসামি দানেশ চৌকিদার নামের অপর এক আসামিকে শোন-এরেস্ট দেখানো হয়েছিল। তবে বর্তমানে ইউপি সদস্য নবীনূর জামিনে রয়েছে। 

ইত্তেফাক/অনি