শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কিশোরগঞ্জে ভিজিএফের চাল পায়নি ৯ হাজার কার্ডধারী

আপডেট : ১১ জুন ২০১৯, ১৮:৪৩

জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার অসহায়, দুস্থ ও হত দরিদ্রদের জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল এখনও পাননি প্রায় নয় হাজার কার্ডধারী। অপরদিকে, চালের পরিবর্তে জনপ্রতি ১৭০ টাকা করে বিতরণ করা খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ কার্ডধারীরা। 
 
সরেজমিনে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে ৪৫ জন কার্ডধারীকে ১৫ কেজি করে চালের পরিবর্তে ১৭০ টাকা করে দেওয়া হয়। 

জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে ৫৬ হাজার ৫৪৭ জন দুস্থ কার্ডধারীর জন্য ৮৪৮.২০৫ মে. টন চাল বরাদ্দ হয়। এসব চাল প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৩০ মে তারিখের মধ্যে ১৫ কেজি করে চাল বিতরণের নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানরা বিভিন্ন কারণে চাল বিতরণের নির্ধারিত সময় উপেক্ষা করেন।
 
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বড়ভিটা ইউনিয়নে এক হাজার ৫৮০ জন, পুটিমারী ইউনিয়নে তিন হাজার ৮০০ জন, নিতাই ইউনিয়নে এক হাজার ১৫৮ জন কার্ডধারী চাল পাননি। এর মধ্যে মঙ্গলবার ৪৫ জন কার্ডধারীকে ১৭০ টাকা করে দিয়ে বিদায় করেন ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সচিব আবু সুফিয়ান। 

বাহাগিলি ইউনিয়নে ৩০০ জন, চাঁদখানা ইউনিয়নে ২০০ জন, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৮১৬ জন চাল পাননি। তবে রণচণ্ডী ইউনিয়নে ছয় হাজার ১৮৪ জন কার্ডধারীর সকলে চাল পেয়েছে। গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে ১০০ জন এবং মাগুড়া ইউনিয়নে দুই হাজার ৮৮০ জন চাল পাননি।

আরও পড়ুন: পেছালো ক্রোক আদেশ জারির তারিখ

এ ব্যাপারে উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি ফজলার রহমান জানান, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের চালের ডিও প্রদানে বিলম্বের কারণে অনেক চেয়ারম্যানের পক্ষে ঈদের আগে চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় তালিকা নিয়েও রয়েছে জটিলতা। 

নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক জানান, তার ইউনিয়নের সকল কার্ডধারীকে চাল দেওয়া শেষ হয়েছে। অতিরিক্ত কার্ড বিলি করার কারণে  নিজের পকেট হতে তাদের টাকা দিতে হচ্ছে।
 
তবে কার্ডধারীদের অভিযোগ, ফারুক চেয়ারম্যান তার চাচার গোডাউনে ৫০ কেজি ওজনের ৮৫ বস্তা ভিজিএফ চাল লুকিয়ে রেখেছেন।

ইত্তেফাক/অনি