বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাঙ্গামাটি পাহাড় ধ্বসের ২ বছর: ত্রাণ ছাড়া কিছুই পায়নি ক্ষতিগ্রস্তরা

আপডেট : ১২ জুন ২০১৯, ১৬:২৫

রাঙ্গামাটির পাহাড় ধ্বসের ২ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৭ সালের এই দিনে পাহাড় ধ্বসে ৪ সেনা কর্মকর্তাসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় আড়াই হাজার ঘরবাড়ি। অন্যদিকে ২০১৮ সালের একই দিন ১২ জুন পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় নানিয়ারচর উপজেলায় বড়পুল পাড়া ও ধর্মচান পাড়া ও হাতিমারায় একই পরিবারের ৫ জনসহ ১১ জন নিহত হন।  দিনটির কথা মনে হলে আজও আঁতকে ওঠেন এলাকার মানুষ। 

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন পাহাড় কাটা বন্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি রাঙ্গামাটি শহরের মহিলা কলেজ গেট এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের মাটি কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। 

জানা যায়, ২০১৭ সালে রাঙ্গামাটি শহরে ৪ সেনা সদস্যসহ ৬৫ জন, কাউখালী উপজেলায় ২৩ জন, কাপ্তাই উপজেলায় ১৮ জন, জুরাছড়ি উপজেলায় ৪ জন ও বিলাইছড়ি উপজেলায় ২ জন নিহত হন। নিখোঁজ হন অন্তত ২০ জন। আহত হন ৮২ জন। 

অপর দিকে ২০১৮ সালের ১২ জুন মধ্য রাতে ভারী বর্ষণের ফলে উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের বড়পুল পাড়া ৪ জন, ধর্মচানপাড়া ৪ জন এবং হাতিমারায় ২ জন, ঘিলাছড়িতে একজন পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। একই দিনে রাঙ্গামাটি পৌর শহরের ২০ থেকে ২৫ টি স্থানে মাটি ধ্বসের ঘটনা ঘটলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন: দাঁতের চিকিৎসা শেষে ফের কেবিনে খালেদা জিয়া

ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত মোট ৭২০টি পরিবার কিছু ত্রাণ সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই পায়নি। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে  প্রায় তিন মাস আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা দুর্গতরা পরে কোনো সুফল পাননি। অতীতেও  প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের বাসস্থানের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই দুর্যোগে আশ্রয় কেন্দ্র বিমুখ এই এলাকার লোকজন। বিপদ মাথায় নিয়ে তারা শেষ সম্বলটুকু আঁকড়ে থাকছেন। 

ইত্তেফাক/অনি