শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তাড়াশে ১০টি সেতু ব্যবহারে দুর্ভোগ

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০১৯, ১৭:১৪

তাড়াশে নির্মিত ১০টি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুগুলো ব্যবহারে লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে এগুলো নির্মিত হয়েছিলো।

এদিকে মাধাইনগর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের সেরাজপুর খালের ওপর নির্মিত সেতুটিতে দুবছরেও সংযোগ সড়কের কাজ না হওয়ায় অবশেষে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ঐ সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে নিয়েছেন। আর বারুহাস ইউনিয়নের পেঙ্গুয়ারি গ্রামের সাইট খালের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়েছে ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান’ কর্মসূচির আওতায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গ্রামীণ রাস্তায় ১২টি সেতু নির্মাণের জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সান্দুরিয়া গ্রামের সান্দুরিয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটির একপাশে গ্রামবাসী তাল গাছের গুড়ি আরেকপাশে ইউক্যালিপটাস গাছের গুড়ি ফেলে তা ব্যবহার করছেন।
অন্যদিকে তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক সড়কের উলিপুর গ্রাম এলাকায় খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অনুরূপ চিত্র বাকি ৮টি সেতুরও। 

সান্দুরিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী, শাজাহান আলী, আব্দুর রহিম, সাজু ফকির, ইসমাত আরা, শাহানা পারভিন প্রমূখ জানান, তাদের গ্রামে সেতু নির্মাণের প্রায় তিন বছরের মতো হয়ে গেল। অথচ এখনও দুপাশে সংযোগ সড়ক করা হয় নাই। নিরুপায় হয়ে তারা গাছের গুড়ি ফেলে কোনরকমে সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন। তবে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

উলিপুর গ্রামের রহিজ উদ্দিন, আখলেছুর রহমান, কোরবান আলী, সাজেদুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, রোকেয়া পারভিন, শ্যামলী খাতুন প্রমূখ জানান, সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটি দিয়ে এপার-ওপার কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বছরের পর বছর। 

সেরাজপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম সরকার, আজগর আলী, জাকির হোসেন, আবু হাসান, টুটুল, শাহাদত, নাজমুলসহ প্রমূখ জানান, যুগ যুগ অপেক্ষার পর সেরাজপুর খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করেন সরকার। তবে সেতু নির্মাণের প্রায় দুবছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দুর্ভোগ থেকে যায় আগের মতই। নিরুপায় হয়ে তারা স্বেচ্ছাশ্রমে সংযোগ সড়ক করে নিয়েছেন।

বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোক্তার হোসেন বলেন, পেঙ্গুয়ারি গ্রামের সাইট খালের সেতুটিতে সংযোগ সড়ক না থাকায় গ্রামবাসী সেতুটি ব্যবহারও করতে পারছিলেন না। পরে ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান’ কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে তা লোকজনের চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: সারিয়াকান্দিতে বন্যায় ৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নুর মামুন দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, ইতিমধ্যে সংযোগ সড়কবিহীন সেতুগুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন দপ্তরে পাঠিয়ে সড়ক নির্মাণের জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

ইত্তেফাক/নূহু