শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় খুন হন ইকরাম

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০১৯, ২২:৪০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কলেজ ছাত্র ইকরাম হোসেন (১৬) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। প্রথমে প্রতিবেশী নাজমা আক্তার (৪০) ও তার ভাই নাজিম উদ্দীনকে (৫৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানা পুলিশ। পরে আটক করা হয় ইমরানুল হাসান সাদী নামে (১৯) এক যুবককে। বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য। 

সাদী সরাইল সদর উপজেলার বড্ডাপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। তিনি সোমবার (১২ আগস্ট) জুডিশিয়াল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

স্বীকারোক্তিতে সাদী জানান, ইকরামকে তারা তিনজন মিলে খুন করে। তিনি ইকরামের পা চেপে ধরে থাকেন। দুই হাত চেপে ধরে রাখেন সোহাগ। তখন শিমুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইকরামের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তারা লাশটি বস্তাবন্দী করে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। 

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে ইকরামের খালাতো বোনের মেয়ে সুমাইয়াকে ইভটিজিং করতো প্রতিবেশী মো. শিমুল। ইকরাম তাতে বাধা দিয়েছিল। এক সময় এই বিষয়ে সুমাইয়ার পরিবার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাতের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। তখন  নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিমুলকে সাজা দেন। শিমুল সাজা ভোগ করে এসে ইকরামকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। 

আরও পড়ুন: গরীবদের আর গ্রিনকার্ড দেবে না ট্রাম্প প্রশাসন

এ বিষয়ে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের পরিবার ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। আটক ইমরানুল হাসান সাদী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। নাজমা বেগম ও তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন এ খুনের পরিকল্পনাকারী  ছিলেন। তাদের আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা জেলহাজতে। অপর আসামিদের ধরতে তৎপরতা চলছে।

উল্লেখ্য গত রবিবার (১১ আগস্ট) কালিকচ্ছ বারজিবি পাড়ার খালাত বোনের বাড়ির খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করে কলেজ ছাত্র ইকরাম হোসেনের বস্তাবন্দী মরদেহ। ইকরাম তার খালাত বোনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন।


ইত্তেফাক/অনি