বাসে হাফ পাস বা অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে রাজধানীতে চলমান সড়ক অবরোধে যোগ হয়েছে নতুন ইস্যু। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির ধাক্কায় সহপাঠী নাঈম হাসানের (১৭) মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্রে করে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মতিঝিল, শান্তিনগর ও গুলিস্তানে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে তারা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলছে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ। এসব কারণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় হাজার হাজার যাত্রীকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গিয়েছে।
রাজধানীর বিজয় সরণীর থেকে পায়ে হেঁটে গুলিস্তানে যাচ্ছিলেন আব্দুর রহমান। ফার্মগেট মোড়ে তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘বিজয় সরণী এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটেই রওয়ান দিয়েছি। আর কতক্ষণ হাঁটতে হবে জানি না। গাড়ি যেহেতু চলছে না, তাই এভাবেই যেতে হবে।’
একই সড়কে আরেকজন যাত্রী তামজিদ হাসান জানান, প্রেস ক্লাবে যাবো বলে ফার্মগেটে ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। কোনো গাড়ি না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম হেঁটেই রওনা দিই।
এছাড়া অনেককে পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ফার্মগেট, বাংলামটর, শাহবাগ, প্রেস ক্লাব ও গুলিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখার সময় এ পয়েন্টগুলোতে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ কমিশনার (শাহবাগ ট্রাফিক বিভাগ) মো. নূরনবী ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘কয়েকটি আন্দোলনকে ঘিরে যানজটে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট এবং শান্তিনগরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে কিছু সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ফার্মগেটের দিকেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এসব কারণে রাজধানীর অন্যান্য সড়কের এর প্রভাব পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল ১১টার পর প্রেস ক্লাবে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সেখানে যানজট সৃষ্টি হয় এবং গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শাহবাগে কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মৎস্যভবন মোড়ে থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।’