ফল কিংবা সবজি রান্না কিংবা খাওয়ার পূর্বে ধুয়ে নেয়া ভালো। তবে সব ফল কিংবা সবজির তো খোসা খাওয়া সম্ভব না। আবার অনেক ফল অথবা সবজির খোসা সহই খাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু খাবারের খোসা যে খাওয়া যায় তা অনেকেই ভেবে উঠতে পারেন না। তেমনই কিছু ফল বা সবজির নাম বলবো আজ:
আলু
আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। কিন্তু আলুর খোসা? আলুর খোসাতেও প্রচুর নিউট্রিয়েন্ট থাকে। এরমধ্যে লৌহ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম উল্লেখযোগ্য।
বেগুন
বেগুন চাক ভাজা করলে বেগুনের খোসা খাওয়া হয়। তবে বেগুনের খোসাসহ খেতে অনেকই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। যাহোক, বেগুনী রঙের বেগুনের খোসায় প্রচুর নিউট্রিয়েন্ট থাকে।
তরমুজ
তরমুজের খোসায় সিটরুলিন নামক এক ধরনের এমিনো এসিড খুঁজে পাওয়া যায়। এই উপাদান রক্তে থাকা নাইট্রোজেন নিষ্কাশন এবং দেহের পেশিতে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তরমুজের খোসা এমনি খাওয়াটা মুশকিল। সেক্ষেত্রে জুস বানিয়ে, বা আচার করে খাওয়া যায়। তরমুজের খোসার মোরব্বাও বানানো সম্ভব।
আম
আম সকলের অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল। তবে জানেন কি আম খাওয়ার পূর্বে যে খোসাটি সাধারণত ফেলে দেন, সেটি কতটা উপকারি। আমের খোসাতে ভিটামিন ই, সি, পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
কলা
কলার খোসা তেতো এবং খেতেও বিস্বাদ। তবে এতেও কিছু ভালো গুনাগুন আছে। কলার খোসায় পটাশিয়াম এবং লুটিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। এছাড়াও এতে ট্রাইপোফেন নামক এমিনো এসিড খুঁজে পাওয়া যায়। এজন্যেই কলার খোসা শক্ত হয়। তাই প্রথমে পানিতে সেদ্ধ করে কলার খোসা বেক করে নিন। তারপর শুকিয়ে নিন। এতে খেতে সমস্যা হবেনা।
কমলা
কমলার খোসায় প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, রিবোফ্লাভিন, ম্যাগনেশিয়ামও পাওয়া যায়। চকলেট, আইসক্রিম এমনকি সালাদের সাথে কমলার খোসা খুব বেমানান কিছু না।