জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো কোমলতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ভর্তি বঞ্চিতরা তৃতীয় দিনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রবেশ পথে শুয়ে অবরোধ করে লিখিত আবেদন করেছেন ভর্তি বঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীরা ।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) জামালপুর জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে সভায় যোগ দিতে আসেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুল রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জ উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, বিজিবি ময়মনসিংহে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো, মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর উপ মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান ও পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তারা জামালপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন। এসময় শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের মাটিতে শুয়ে প্রধান অতিথির পথ অবরোধ করে ভর্তির দাবিতে লিখিত আবেদন জানায় কোমল মতি শিশু শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুল রেজা বিশ্বাস শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দাবি আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবো এবং খুব শিগগিরই আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কোমলমতি শিশুদের এই বিষয়টি নজরে না আনার কোনো কারণ নেই।
পরে আন্দোলনরত শিশু ও অভিভাবকদের প্রধান ফটক থেকে উঠে সড়কের বিপরীত পাশে ব্যানার নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মানববন্ধন করেন।
জামালপুর জেলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রায় ২৫জন শিক্ষার্থী লটারিতে বিজয়ী হয়। কিন্তু এসব বিজয়ীদের বয়স ৯ বৎসরের কম হওয়ার কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের ভর্তি না করায় ঐসব শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা গত ৩ দিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছেন।