বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভায় সাত জন গুণী ব্যক্তিত্বকে বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে।
ফেলোশিপপ্রাপ্তরা হলেন—মতিয়া চৌধুরী (মুক্তিযুদ্ধ), আজিজুর রহমান আজিজ (সাহিত্য), ভ্যালোরি এ টেইলর (চিকিত্সা, সমাজসেবা), ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম (শিল্পকলা, যন্ত্রসংগীত), শেখ সাদী খান (শিল্পকলা, সংগীত), ম হামিদ (সংস্কৃতি, নাটক) এবং গোলাম কুদ্দুছ (সংস্কৃতি সংগঠক)।
এছাড়াও বাংলা একাডেমি পরিচালিত সাতটি পুরস্কার-২০২১ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে পক্ষীবিশারদ ইনাম আল হক পেয়েছেন মেহের কবীর বিজ্ঞান সাহিত্য পুরস্কার, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার, সুকুমার বড়ুয়া পেয়েছেন মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার, নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার পেয়েছেন অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কার, ড. তসিকুল ইসলাম রাজা পেয়েছেন সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার এবং সৌমিত্র চক্রবর্তী পেয়েছেন করোনা বৃত্তান্ত বইয়ের জন্য হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান লেখক পুরস্কার। পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্ত গুণীজনদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র, সম্মাননা-স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
শুক্রবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্হাপন করেন এবং একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট অবহিত করেন। একাডেমির সদস্যবৃন্দ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন।
‘বিদ্রোহী’ কবিতার জন্মশতবর্ষ স্মারক উদ্বোধন: এদিকে বিকালে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তিতে বাংলা একাডেমি নির্মিত স্মারক ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এ সময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, ভাস্কর্যের ভাস্কর জাহানারা পারভীন, বাংলা একাডেমির ফেলো, জীবনসদস্য, সদস্য এবং একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।
ইত্তেফাক/বিএএফ