শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৪৭

টানা তিন দিনের ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে স্থবির হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর—

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ): উপজেলায় দুপুর পর্যন্ত থাকছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত ইমারজেন্সি লাইটসহ হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক ও মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর ভিড় বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমিমুল এহসান তৌহিদ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত কয়েক দিন ধরে জ্বর সর্দি-কাশির রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত আছে বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সবজির চারা ও বোরো বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে সবজি চারা, সবজিখেত ও বোরো বীজতলা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী জানান, ইতিমধ্যে বরাদ্দকৃত ৬ হাজার ৮৪২ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

সৈয়দপুর (নীলফামারী): উপজেলায় দুপুরের দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তা ২/১ ঘণ্টার মধ্যেই উধাও হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার, স্টেশন ও বাস টার্মিনালে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আরো ২/৩ দিন এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে। চলতি মাসেই আরো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইন জানান, শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র ও টাকা বরাদ্দ মিলেছে। বরাদ্দকৃত টাকায় কম্বল কেনা হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এমআর