শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিলোনীয়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিও করা যাবে

আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৫৩

ফেনী পরশুরাম উপজেলার বিলোনীয়া স্থলবন্দর দিয়ে এক যুগ পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য চালু হচ্ছে। কাস্টম এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনার মো. বেলাল হোসেনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।

আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের চিঠিতে জানানো হয়, এ বন্দর দিয়ে নিষিদ্ধ পণ্য ছাড়া সব ধরনের পণ্য দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনটি দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিতে রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে লাভজনক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। বিলোনীয়া স্থলবন্দর থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহন উপযোগী সুপরিসর রাস্তা নির্মাণ এবং উক্ত এলাকায় কাস্টমসের বৃহৎ শুল্ক ফাঁড়ি স্থাপনা ও গাড়ি পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া ফেনী-বিলোনীয়া রেলপথ শিগগির চালু হলে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি সুযোগ আরো বেড়ে যাবে বলে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট সূত্র জানায়। গত বছরের ৪ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মেম্বার জাকিয়া সুলতানা বিলোনীয়া কাস্টমস ইমিগ্রেশন ও শুল্ক বন্দরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এদিকে, আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফের সভাপতি জামাল আহম্মেদ জানান, এ বন্দর দিয়ে ইতিমধ্যে দ্বিমুখী আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর পরশুরাম সীমান্তের বিলোনীয়া স্থলবন্দরটি দেশের ১৭তম স্থলবন্দর হিসেবে সরকার চালু করলেও এটি শুধু একমুখী রপ্তানি বন্দর হিসেবে চালু ছিল। বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ইট, বালু, সিমেন্ট, রড রপ্তানি হচ্ছে। দ্বিমুখী বাণিজ্যের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকগণ জানান, ভারত থেকে গবাদিপশু, তাজা ফল, হলুদ, মরিচ, পেঁয়াজ, চুনাপাথর, গম, কয়লা, আদা আমদানি করা যাবে।

এদিকে, স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, দ্বিমুখী বাণিজ্য চালু হওয়ায় আমদানি-রপ্তানিকারক ও শ্রমিকদের মধ্যে উত্সাহ সঞ্চারিত হয়েছে। ল্যান্ড কাস্টমস অফিসার মো. ইফতেখারুল আলম জানান, এ বন্দর দিয়ে দ্বিমুখী আমদানি-রপ্তানি হলে এটি পরিপূর্ণতা পাবে।

ইত্তেফাক/এমআর