গত ৭ ও ৮ জানুয়ারি করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করতে না পারা ৫ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার টিকা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার ৬০ কওমি মাদ্রাসার ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীসহ তিন কলেজ, ৯ দাখিল মাদ্রাসা ও ১৮ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা বাস ও সিএনজি অটোরিকশায় করে উপজেলা পরিষদ হল রুমে এসে টিকা গ্রহণ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, ১২ বছরের ওপরে ও ১৮ বছরের নিচের বয়সের শিক্ষার্থীদেরকে এ টিকা দেওয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দিতে হয় বলে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষকেই বাছাই করা হয়। এর জন্য সেখানে ১০টি বুথ এবং প্রতিটি বুথে তিন জন করে ৩০ জন ভ্যাকসিনেটর ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
এর আগে গত ৭ ও ৮ জানুয়ারি দুই দিনে উপজেলার ২৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থীকে করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।