চলনবিলের বেশ কয়েকটি নদী খনন করা হয়েছে। তবে খনন হলেও ফেরেনি নাব্যতা। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই প্রমত্তা বড়াল, আত্রাই, গুমানী, তুলসীগঙ্গা ও নন্দকুঁজায় দেখা দিয়েছে দারুণ খরা। এ সব নদীতে বছর জুড়ে পানির প্রবাহ থাকার কথা থাকলেও চর জেগে উঠেছে নদীর বুক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- চলনবিলের বুকচিরে গুমানী নদীর প্রবাহ। বাঘাবাড়ি থেকে উত্তর জনপদের প্রায় আটটি জেলায় নৌ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এটি। এক সময়ের উত্তাল গুমানী এখন দখল-দূষণ আর ভরাটের কবলে। তবে নাব্যতা ফেরাতে নদীটি গত বছর খনন করা হয়েছে। কিন্তু খুব বেশি লাভ হয়নি। শুধু গুমানী নয়, দখল-দূষণ আর ভরাটের কবলে চলনবিলের অন্তত ২২ নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে।
চলনবিল রক্ষা কমিটির সভাপতি এমদাদ মোল্লা জানান, ভাঙ্গুড়ার এরশাদ নগর থেকে গুরুদাসপুর রাবারড্যাম পর্যন্ত ৯৭ কিলোমিটারের আত্রাই নদী খনন বরা হলেও পুরো নদীতেই চর পড়েছে।
এছাড়া চলনবিলের ১৮টি খালের মধ্যে নবীরহাজির জোলা, হকসাহেবের খাল, নিমাইচড়াখাল, বেশানীরখাল, গুমানীখাল, উলিপুরখাল, সাঙ্গুয়াখাল, দোবিলাখাল, কিশোরখালির খাল, বেহুলারখাড়ি, বাকইখাড়া, গোহালখাড়া, গাড়াবাড়ি খাল, কুমারভাঙ্গাখাল, জানিগাছার জোলা, সাত্তার সাহেবের খাল অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোকলেসুর রহমান ইত্তেফাককে জানান, নদী থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান চলমান আছে। তাছাড়া বড়াল, নারদ, নন্দকুঁজা ও মুসাখা নদীর খননের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।