জাপানের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক শান্তি চুক্তি আলোচনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। মালিকানা নিয়ে বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্পও স্থগিত করেছে মস্কো। ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে টোকিও ‘প্রকাশ্যে অবন্ধুসুলভ’ আচরণ করায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, কুরিল দ্বীপপুঞ্জে জাপানের নাগরিকদের বিনা ভিসায় ভ্রমণের সম্মতি দিয়ে করা ১৯৯১ সালের একটি চুক্তিও বাতিল করেছে রাশিয়া। সোমবার (২১ মার্চ) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেনের পরিস্হিতি নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাপানের একতরফা নিষেধাজ্ঞার সুস্পষ্ট অবন্ধুসুলভ ধরনের কারণে ভিসামুক্ত ব্যবস্হা বাতিল করা হলো। পাশাপাশি জাপানের সঙ্গে শান্তি চুক্তির আলোচনাও আর চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা নেই।’
মঙ্গলবার জাপান রাশিয়ার এসব সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে। মস্কোর সমালোচনা করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ‘এ পুরো পরিস্হিতি তৈরি হয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে। আর এটি নিয়ে রাশিয়া-জাপানের সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করার রাশিয়ার পদক্ষেপ অত্যন্ত অন্যায় এবং পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।’
জাপানের সর্বউত্তরের দ্বীপ হোক্কাইডোর উত্তরে চারটি দ্বীপ নিয়ে বিরোধ থাকায় জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়নি। কুরিল দ্বীপপুঞ্জ নামে পরিচিত ওই দ্বীপ চারটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে। জাপানে এগুলো ‘উত্তর অঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ প্রান্তে সোভিয়েত ইউনিয়ন এ দ্বীপগুলো দখল করে নিয়েছিল। বিশ্বযুদ্ধে আন্তর্জাতিক সীমানা পরিবর্তিত হওয়ায় এ অধিগ্রহণকে বৈধ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। কিন্তু জাপান এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আসছে।