১০ বছরের সাজা থেকে বাঁচতে পলাতক ছিলেন ২৩ বছর। তাতেও শেষ রক্ষা হলো না ডাকাতির মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আব্দুস সাত্তারের (৬৫)। গত শুক্রবার (৬ মে) দিবাগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানাধীন গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে তানোর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃত আব্দুস সাত্তার উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কিসমত বিল্লি গ্রামের গরিবুল্লাহর ছেলে। তার নামে ডাকাতির অভিযোগে ১৯৯৯ সালের ৯ মার্চ তানোর থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ওই বছরই রাজশাহীর দায়রা জজ আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওসি জানান, মামলার পর নিজ এলাকা থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদে চলে যান সাত্তার। সেখানে বসবাস শুরু করেন। দিন কয়েক আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানাধীন ঘুঘুডিমা গ্রামে তার মেয়ে নার্গিস আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা গ্রামে তার মেয়ের বাড়ি থেকে ডাকাত আব্দুস সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। আব্দুস সাত্তার ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। এখন তিনি তার সাজার ১০ বছর কাটাবেন। শনিবার দুপুরে তাকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।