যান্ত্রিক জীবনে কাজের ব্যস্ততা, ব্যক্তিগত টানাপোড়েনে শরীরের পাশাপাশি চোখও ক্লান্ত হয়ে যায়, বিষণ্নতার ছায়া পড়ে চোখে। কম ঘুম, মানসিক চাপ, বয়সের কারণে চোখের কালচে ভাব বা ডার্ক সার্কেলের জন্য চোখ দুটিকে ক্লান্ত দেখায়। দৈনন্দিন জীবনে কোন কোন অভ্যাস বদলে ফেললে এবং কী কী অভ্যাস যোগ করলে চোখের নিচে কালচে ছাপ দূর হবে, জেনে নিন।
- রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস কিংবা সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখে রাতের পর রাত ফেসবুক, ইউটিউব বা ওয়েব সিরিজ দেখা— এসব অভ্যাসের কারণে ঘুমের বারোটা বাজে। দিনে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম ভীষণ জরুরি। তা না হলে শরীরে নানা প্রকার রোগ বাসা বাঁধবে আর সঙ্গে চোখের নিচে কালিও পড়বে।
- শরীরে পানির ঘাটতি হলে শরীর নিজেই সে কথা জানান দেয়। চোখের নিচে কালচে ভাব, ফোলাভাব শরীরে পানির ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে যেন পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
- খাওয়াদাওয়ায় লবণের মাত্রার ওপর নিয়ন্ত্রণ টানতে হবে। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। ফলে চেখের নিচে কালি জমলে সেই দাগ সহজে ওঠেও না। তাই প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ও লাঞ্চ বা ডিনারে লবণ না খাওয়াই ভালো।
- অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেও চোখের নিচে কালি পড়তে পারে। ধূমপানের অভ্যাস ত্বক শুষ্ক করে, ত্বকে মেলানিন, ইলাস্টিন ও কোলাজেন উৎপাদনে বাধা তৈরি করে।
- শরীরচর্চা করলে শরীরে এবং ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস চোখের নিচে কালচে ভাব কমাতে পারে। সঙ্গে ত্বকে বয়েসের ছাপ লুকিয়ে রাখতেও ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই।
- ডায়েটে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ালে চোখের নিচে কালচে ভাব দূর হবে। ডার্ক চকলেট, সিট্রাস-ফল, বিট, গাজর, পালংশাকে ভালো মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। আর স্যামনসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, দানাশস্য, আখরোট, আমন্ড শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি মেটাতে পারে।
- শসায় আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি চোখের ফোলা ভাব দূর করতে সহায়তা করে। প্রাকৃতিকভাবে ঠাণ্ডা হওয়ায় প্রতিদিন পাঁচ মিনিটের জন্য শসা কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখলে উপকার পাবেন।