মালদ্বীপ, নেপাল, থাইল্যান্ড, ইন্ডিয়া, তুর্কিয়ে (পূর্ব নাম তুরস্ক) ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় সব গন্তব্য এখন চলে এসেছে একেবারেই হাতের মুঠোয়। দীর্ঘ ২ বছর পর কাছাকাছি সব দর্শনীয় ভ্রমণের স্থানগুলোতে নেই আর ভিসার বিধিনিষেধ। কোনোরকম বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই এখন সম্ভব ভিসার জন্য আবেদন করা। এমনকি বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্টের রীতিও বাদ দিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
শুধু ২ ডোজ ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করলেই ভ্রমণ করা সম্ভব দূর-দূরান্তের দেশগুলোতে। তাই এখনই ভ্রমণের সেরা সময়। এই মাসে বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা কীভাবে করবেন, সেটা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
তুর্কিয়ের ক্যাপাডোসিয়ার হট এয়ার বেলুনে ছেয়ে যাওয়া নীল আকাশের ছবি কে না চেনেন। তা-ছাড়াও আছে ইস্তানবুলের ঐতিহ্যময় হাগিয়া সোফিয়া, টপকাপি প্যালেস, ফিরোজা কারুকার্যময় নীল মসজিদ ইত্যাদি। সাধারণত তুর্কিয়ে ঘোরার ক্ষেত্রে ২-৩টি শহর একসঙ্গে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। কারণ দেশটির এক এক কোণায় লুকিয়ে আছে এক এক ধরনের বিস্ময়। পামুক্কালে নামক শহরের নামের অর্থই ‘তুলার প্রাসাদ’। সেখানে আছে নীল পানির জলাশয়, যা প্রাকৃতিকভাবেই সারাবছর গরম থাকে। জীবনে অন্তত একবার হলেও এই দেশটি ঘুরে আসা উচিত।
মালদ্বীপের কথা চিন্তা করলেই মাথায় আসে নীল আর সাদা রঙের মেলবন্ধন। এমন পরিষ্কার হাল্কা নীল পানি এবং ধবধবে সাদা বালি এশিয়া মহাদেশের আর কোনো অংশেই নেই। নাগালের মাঝেই এমন অভূতপূর্ব সৌন্দর্য থাকলে, তা কোনোভাবেই হাতছাড়া হতে দেওয়া উচিত না। তবে এ কথাও সত্য যে কাছাকাছি অন্যসব দেশের তুলনায় মালদ্বীপ ঘোরার খরচটা অনেক বেশি, বিশেষত ইচ্ছা যদি থাকে বিলাসবহুল ওয়াটার ভিলাতে থাকার। তবে স্বপ্নের ক্ষেত্রে কোনো বাধা যাতে না মানতে হয়, তা নিশ্চিত করতে গোযায়ান নিয়ে এসেছে তাদের নতুন কিছু সার্ভিস। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো তাদের ৬ মাস পর্যন্ত শূন্য শতাংশ (০%) ই এম আই সার্ভিসটি। ডোমেস্টিক বা ইন্টারন্যাশনাল সব ধরনের ফ্লাইট, হোটেল এবং ট্যুরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন এই সার্ভিস।
এককালীন সম্পূর্ণ ভ্রমণের খরচ না দিয়ে, কিস্তিতে শোধ করতে পারবেন প্রয়োজনীয় টাকা। ফলে আর্থিক চাপটা কম পড়ে, আবার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে ভ্রমণের জন্য অপেক্ষা করারও কোনো প্রয়োজন পড়ে না। স্বপ্ন হোক মালদ্বীপ, তুর্কিয়ে কিংবা থাইল্যান্ড- এখন থেমে থাকার কোনো প্রয়োজনই নেই।
একটু কম খরচে ভ্রমণ সারতে চাইলে আছে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল এবং ইন্ডিয়া। অনেকে সড়কপথেই এই দেশগুলোতে ঘুরে আসেন। তবে সময় এবং সুবিধার কথা চিন্তা করলে দেখা যায়, ফ্লাইটই এই দেশগুলোতে যাওয়ার সেরা অপশন। ফ্লাইটের খরচটাও এখন সাধ্যের মাঝে এসে পড়েছে গোযায়ান এর শূন্য শতাংশ (০%) ই এম আই সুবিধার মাধ্যমে।
বর্তমানে ফ্লাইটের ক্ষেত্রে শূন্য শতাংশ (০%) ই এম আই সুবিধাটি দিচ্ছে শুধু গোযায়ান-ই। ফ্লাইট নিশ্চিত হওয়ার পরই আসে হোটেলের কথা। অচেনা দেশে হোটেল নির্বাচন করার ক্ষেত্রে শুরুতেই যেটা মাথায় রাখতে হবে, তা হলো নিরাপত্তা। সঠিক হোটেল নির্বাচনের জন্য বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই এখন। বাংলাদেশি প্ল্যাটফর্ম গোযায়ান এই পেয়ে যাবেন দেশ বিদেশের সব ধরনের হোটেল।
সবচেয়ে সুবিধার ব্যাপার হল, ০% ই এম আই সুবিধাটি ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন বিদেশি হোটেল এর জন্যও। অর্থাৎ আমাদের দেশের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেই এখন বুকিং করে ফেলা সম্ভব দেশে বিদেশের যে-কোনো ধরনের হোটেল। তাই আলাদাভাবে বিদেশ যাওয়ার সময় হোটেলের পেমেন্ট নিয়ে চিন্তা করারও কোনো প্রয়োজন নেই, এটা সম্পূর্ণভাবেই অনলাইনে করে ফেলা সম্ভব এখন। তবে আলাদা আলাদাভাবে ট্যুরের সব উপাদান সামলানোটা বেশি কষ্টকর মনে হলেই দেখে নিতে পারেন গোযায়ান এর ট্যুরগুলোও। সম্পূর্ণভাবে নিজের মতো সাজিয়ে নেওয়ার সুযোগ অথবা পূর্ব থেকে তৈরি ট্যুর প্যাকেজ, সব ধরনের অপশনই আছে প্ল্যাটফর্মটিতে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নয়। ঐতিহ্যময় তুর্কিয়ে বা কোলাহলময় থাইল্যান্ড, ঐশ্বর্যশালী নেপাল অথবা মোহনীয় মালদ্বীপ- ভ্রমণ চলুক বাধাহীন।