সপ্তাহ না ঘুরতেই চলে আসবে ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ মানেই তৃপ্তি করে খাওয়াদাওয়া। আর সব মজার খাবারের পেছনে লুকিয়ে থাকে মসলার গোপন সব মিশ্রণ। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম।
মাংস রাঁধতে হলে নানা মশলাপাতি প্রয়োজন হবেই। বাঙালি মুসলমানের বাড়িতে বাড়িতে ঈদুল আজহার দিনক্ষণ নির্ধারণ হতেই মসলাপাতি বাটাবাটি ও গুঁড়া করার ধুম পরে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক মসলাপাতির বর্তমান হালচাল।
ঈদ উৎসবে খাবারে বৈচিত্র্য আনতে মসলাপাতির খুব দরকার। তাই ঈদের আগেই মাংসের বিভিন্ন রেসিপি রান্নার জন্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ, মরিচ, তেজপাতা, গরম মসলা, গোলমরিচ, জায়ফল, সয়াসস এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস আগেই কিনে রাখলে ভালো। গুঁড়া মশলাগুলো যেমন পৃথক কৌটায় নাম লেখে গুছিয়ে রাখবেন তেমনি দরকার মতো আদা, রসুন, জিরা বেটে রাখুন। এতে সময় মতো সবকিছু থাকবে হাতের নাগালে।
ঈদে কয়েকদিন পরেও নিমন্ত্রণের প্রচলন রয়েছে, সে জন্য প্রয়োজনের চাইতে খানিকটা বেশি মসলাপাতি কিনে রাখুন, যাতে সংকট পরলে ঝামেলায় পড়তে না হয়। মসলার নিজস্ব ঘ্রাণ ও বাহারি স্বাদের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আসন্ন ঈদকে উপলক্ষ্য করে অনেকেই মসলার বাজার আগে ভাগেই করে নিতে চাচ্ছেন।
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হয়েছে রাজধানীর কাওরান বাজার, হাতিরপুল কাঁচা বাজার, পলাশী বাজারে।
পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্য মসলার দামও বেড়েছে। বাজারে রসুন ১২০-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১২০ টাকা। ১০০-১৩০ টাকার আদা ১৫০-১৭০ টাকায়, ৪০০ টাকার জিরা ৪৪০-৪৭০ টাকায়, ২২০-২৪০ টাকার হলুদ গুড়া ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুকনা মসলার মধ্যে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। সেই সঙ্গে ধরনভেদে এলাচ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি করে। এ ছাড়া লবঙ্গ এক হাজার ৮০০ টাকা, কিশমিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে মাংসে চুইঝাল খেতে পছন্দ করেন। মুখরোচক এ মসলাটির কেজি ৭৫০ থেকে এক হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।