শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুমিল্লায় সাংবাদিকের ওপর হামলা, ছুরিকাঘাত

আপডেট : ১০ জুলাই ২০২২, ১৯:৩৯

কুমিল্লার চান্দিনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তার ওপর হামলা করা হয়। ওই সাংবাদিকের নাম একে সালমান। তিনি দৈনিক যুগান্তরের রাজধানী পাতার রিপোর্টার। 

এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সাংবাদিক একে সালমাম বলেন, দুর্বৃত্ত মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ইমন কুমিল্লার চান্দিনা থানার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। সে বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি তার আত্মীয় এবং বিভিন্ন সরকারি চাকরি ও বিজ্ঞাপন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে আমার পরিচিত লোকজন আমার সঙ্গে দেখা হলে তারা আমাকে এ বিষয়ে বলে। এক পর্যায়ে তার খোঁজ নিয়ে দেখি সে অনেক লোকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অনেক টাকা নিয়েছে। সে আমার এলাকার হওয়ায় অনেকে আমাকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বললে, আমি তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে তার ফোন নাম্বার ভুক্তভোগীদের কাছে যোগাযোগ করার জন্য দিয়ে দেই। 

তখন তার বড় ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলে, কারা কারা তার কাছে টাকা পাবে এমন পরিচিত যারা আছে তাদের নাম্বার দেওয়ার জন্য। আমি তাদের নাম নাম্বার দিলে সে আমাকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে আসলে ইমন শনিবার দুপুর দুইটার দিকে আমার বাড়িতে গিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে বসে।

আমি ঘুম থেকে উঠেই তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে বাড়ির পাশে হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে আসলে সে তার কোমর থেকে একটি ধারালে চাকু বের করে আমার পেটে ঢুকিয়ে দিতে যায়। তখন আমি  আমার প্রাণ বাঁচাতে তাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দিয়ে পালাতে গেলে পিছন থেকে আমাকে আঘাত করে। এতে আমার পিঠের বাম পাশে এবং বাম হাতের কনুইর একটু ওপর কেটে চরমভাবে জখম হয়। আশেপাশে থাকা কয়েকজন দৌড়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাজারের একটি ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। পরবর্তীতে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দিনা থানার এএসআই কাজী ইকবাল জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এমআর