বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

গাংনীতে বারো মাস চাষ হয় ফুলকপি ও বাঁধাকপি

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২২, ১৮:২৯

আগে ফুলকপি ও বাঁধাকপি পেতে শীতের অপেক্ষা করতে হলেও এখন গাংনীতে বারোমাস পাওয়া যায় এসবসহ নানা ধরনের সবজি। উপজেলায় সব মৌসুমেই চাষ হচ্ছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের কৃষক কিতারুল প্রায় ১০-১২ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি করছেন। সবজি চাষ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। শুধু কিতারুল নয় এই গ্রামের ১ হাজার চাষি বারো মাস সবজি চাষ করছেন। 

জানা যায়, উপজেলার সাহারবাটি, গাড়াডোব, যুগিন্দা, আযান, মাইলমারী, হিন্দা, নওপাড়া, ধলা, কাথুলিসহ বিভিন্ন মাঠে বারোমাসই সবজি মিলছে। এসব মাঠের সবজি প্রতি দিনই অর্ধশত ট্রাকে করে যাচ্ছে ঢাকা, চিটাগাং, সিলেট ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানায়, এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষে খরচ হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ফুলকপি পাওয়া যায় ৬ হাজার ও বাঁধাকপি পাওয়া যায় ৫ হাজার। খরচ বাদ দিয়ে ৬০-৭৫ দিনে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়। 

সাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি বাবলু হোসেন বলেন, আগে শুধু শীতকালে সবজি চাষ করতাম। শীতের সবজি গরমে হবে ভাবতেও পারিনি। এখন বারো মাস সবজি চাষ করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, মেহেরপুরের কৃষি জমি খুব উর্বর। সারা বছর জমিতে নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। তাই বারো মাস সবজি উৎপাদন করতে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। 

 

 

ইত্তেফাক/এআই