অবসর সময়ে শুরু করা ব্লগিং থেকে সাবা সিদ্দিকা হয়ে ওঠেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার। মায়ের অনুপ্রেরণায় সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে চলা যেন এই মানুষটার নিত্যদিনের কর্তব্য। নিজের দক্ষতা-সক্ষমতা যাচাই করে নিজেকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন। এজন্যই তো একমুখী কাজ করতে পছন্দ করেন না সাবা সিদ্দিকা; পছন্দ করেন বহুমুখী কাজের মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে।
২০১৫ সাল থেকে টিকটকের শর্ট ভিডিও তৈরি করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। টিকটকের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে কাজ করেন বাণিজ্যিক ও অ-বাণিজ্যিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে। মায়ের ভালোবাসা ও সহযোগিতা যেন সাহস যুগিয়েছে সামনে এগিয়ে চলার। তাই তো কাজ শুরু করার তিন বছর পর নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে গাড়ি কিনে মাকে চড়ান। একজন ব্র্যান্ড প্রমোটর ও প্রমোশন এবং কন্টেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন।
তিনি ২০১৯ সালে ‘নারাহ বাই সাবা সিদ্দিকা’ নামে নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। একজন ব্র্যান্ড প্রমোটর ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে পেয়েছেন ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে তিনি জানান, ‘আমার সব থেকে বড় প্রাপ্তি নিজের ফ্যান-ফলোয়ার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধু-বান্ধবদের থেকে পাওয়া ভালোবাসা ও সহযোগিতা’।
নতুনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আশপাশের মানুষ কথা শোনাবেই, মানুষের কথায় কর্ণপাত করা যাবে না। দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। শুধু বিশ্বাস করতে হবে নিজের সক্ষমতায়। যে কাজে মন সাড়া দেয় না, সে কাজ করলে কখনো সফলতা আসবে না।’ সাবা সিদ্দিকা জানান, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য সবার মাঝে ভালোভাবে বেঁচে থাকা। সবাইকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া, নিজের পরিচয়ে না, ভালো কাজের মাধ্যমে সবার মনে জায়গা করে নিতে চাই। সবার কাছ থেকে এতটা ভালোবাসা পাব কখনো বুঝতে পারিনি। তবে চেষ্টা করব সবাইকে ভালো কাজ উপহার দিতে। প্রতিটা মানুষই পরিশ্রম করে সফলতার দেখা পায়। এতদূর যখন আসতে পেরেছি তখন আর নিজেকে হারাতে দিতে চাই না।’