বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ট্রেন দুর্ঘটনা: অ্যাম্বুলেন্স আসতেই দৌড়ে যাচ্ছেন স্বজনরা

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২২, ২০:৩৮

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহতের খবর শোনার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন স্বজনেরা। বিকেল ৩টার পর থেকে চমেক হাসপাতালের মর্গে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আসতে থাকে। একটি অ্যাম্বুলেন্স আসার সঙ্গে সঙ্গেই দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্বজনরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন।

চমেক হাসপাতালের মর্গে সামনে লাশ শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এ সময় পুরো এলাকায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।  

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার থেকে একটি মাইক্রোবাসে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে যান যুগীরহাট এলাকার আরঅ্যান্ডজে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। মাইক্রোবাসটিতে চালক-হেলপারসহ ১৮ জন ছিলেন। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বার তাকিয়া স্টেশনে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হন। আহত ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজন দুর্ঘটনার সময় লাফ দিয়ে মাইক্রোবাস থেকে নেমে যাওয়ায় অক্ষত আছেন। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চট্টগ্রাম মেডিক্যালে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: ফোকাস বাংলা

হতাহতদের মধ্যে ১৫ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে ১০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী। এরা হলেন, শাওন, হিসাম, আয়াত, সৈকত, মারুফ, তাসমির, হাসান, ইমন, হৃদয় ও মাহিম। বাকি ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন- কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জিসান, রেদোয়ান, সজীব ও রাকিব এবং মাইক্রোবাসচালক মোস্তফা কামাল। সহকারীর নাম জানা যায়নি।   

ইত্তেফাক/ইউবি