রোববার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৯ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ইবির পরীক্ষার হলে ঘড়ি না থাকায় ভর্তিচ্ছুদের ‘ভোগান্তি’

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ১৮:১৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান অনুষদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (৩০ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ভবনে ঘন্টাব্যাপী এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪ হাজার ৩৪৭ জন ভর্তিচ্ছুর বিপরীতে ৪ হাজার ১৯৩ জন উপস্থিত ছিলেন। 

তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কক্ষে ঘড়ি না থাকায় সময় নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন বলে ভর্তিচ্ছুরা অভিযোগ করেন। 

জানা যায়, এর আগে পরীক্ষার উপকরণ ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস যেমন: ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মোবাইল বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ইত্যাদি নিয়ে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিল ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। ফলে পরীক্ষার্থীরা সময় নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের ঘড়ি ওপর নির্ভরশীল হলেও অনেক কক্ষে ঘড়ি ছিল না আবার থাকলেও অধিকাংশ কক্ষের ঘড়ি ছিল নষ্ট ও যান্ত্রিক ত্রুটি যুক্ত। এতে সময় নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে পরীক্ষার্থীরা। 

রাজবাড়ী থেকে পরীক্ষা দিতে আসা সিফাত নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমি পুরাতন বিজ্ঞান ভবনে পরীক্ষা দিয়েছি। তবে হলে ঘড়ি না থাকায় সময় দেখার কোন উপায় ছিল না। একারণে সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। 

কুষ্টিয়া থেকে পরীক্ষা দিতে আসা বর্ষা নামের এক ভর্তিচ্ছু একই অভিযোগ করে বলেন, যেহেতু হলে ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ নিষেধ তাই দেয়াল ঘড়ির ব্যবস্থা করা দরকার ছিল।

এদিকে, অভিভাবক কর্নারে ছাউনিতে বৃষ্টি প্রতিরোধী কোন ব্যবস্থা না থাকায় অভিভাবকরা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, অনেক কেন্দ্রে ঘড়ি ছিল না এটা সত্যি তবে এটা আসলে আমার এখতিয়ারে না।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘড়ির বিষয়টি দুদিন আগেই চেক করা হয়েছিল। সবকক্ষে ঘড়ি থাকার কথা এরপরেও কোনো কক্ষের ঘড়ি যদি নষ্ট হয়ে থাকে আগামী পরীক্ষার আগে সেগুলো চেক করে ঠিক করা হবে। 

অভিভাবক কর্নারে বৃষ্টি প্রতিরোধী না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, অভিভাবকদের বলা হয়েছিল যদি বৃষ্টি আসে তাহলে যে সব ভবনে পরীক্ষা নেই সেখানে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। 

ইত্তেফাক/এআই