শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বয়স লুকানোর মন্ত্র  

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ২১:৩১

বয়স বাড়লে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমতে থাকে। শরীরে বাসা বাধে নানা রোগবালাই। কপালের সরু ভাঁজ, চোখের কোণে বলিরেখা দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এমন অনেকে আছেন যাদের বয়স হলেও সেটা বুঝা যায় না। কী মন্ত্র জানেন তারা, যার জাদুতে চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে পারেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

জীবন ও জীবিকায় কখনও কখনও দুশ্চিন্তা ভর করে। এর প্রভাব শরীরের ওপর পড়ে। যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন। না হলে বয়স ২৫ হতে না হতেই বলিরেখা দেখা দিবে। লক্ষ করে দেখবেন অনেক শ্রমজীবী মানুষকে অল্প বয়সেই বেশি বয়স্ক দেখায়। এর অন্যতম কারণ অভাব-অনটন। তাই মন ফুরফুরে থাকবেন। নিয়ম মেনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন। এতে মন প্রফুল্ল থাকবে, বয়সের ছাপ দেরিতে পড়বে।  

  জীবন ও জীবিকায় কখনও কখনও দুশ্চিন্তা ভর করে। এর প্রভাব শরীরের ওপর পড়ে   

নারীদের চল্লিশ থেকেই জয়েন্ট পেন, আর্থ্রাইটিস জাতীয় সমস্যা বাড়তে থাকে। তা ছাড়া ক্যারিয়ারের কারণে এখন অনেক নারীই মধ্য ত্রিশে মা হোন। ফলে চল্লিশে পৌঁছেই চেহারায় ভারিক্কি ভাব চলে আসে। এটা তো ঠিক যে, মা হওয়ার পরে মেয়েদের শরীরে অনেক বদল আসে হরমোনের করণে। চেহারার ভারী ভাব কাটানোর জন্য ওয়ার্কআউটের সঙ্গে কার্ডিয়ো করতে হবে।

প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। অতিরিক্ত তেল ও মসলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলবেন। জাঙ্ক ফুড খাবেন না। গরু বা খাসির মাংস কম খাবেন। এগুলো না খেয়ে বরং অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। শাকসবজি, ফলমূল, বিশেষ করে গাজর, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো ও ভিটামিন সি-যুক্ত সব খাবার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখার চেষ্টা করবেন। এগুলো খেলে স্বাস্থ্য যেমন ঠিক থাকবে তেমনই ত্বকও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। 

বয়স বাড়লে কপালের সরু ভাঁজ, চোখের কোণে বলিরেখা দেখে মন খারাপ হয়ে যায়

ত্বককে বাঁচাতে হলে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে। বাইরে যাওয়ার আগে ভালো সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করবেন। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে সরাসরি লাগলে ক্ষতি হয়। তৈলাক্ত, শুষ্ক বা মিশ্র—ত্বক বুঝে ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। নিয়মিত ব্যায়াম, প্রাণায়াম ও যোগাসন করুন। এর ফলে শরীরের ওজন শুধু নিয়ন্ত্রণে থাকবে না, রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হবে। 

চল্লিশের শেষের দিকে নারীরা মেনোপজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। এ কারণে এক ধরনের অবসাদ গ্রাস করে তাদের। ডি-স্ট্রেস ওয়ার্কআউট নারীর শরীর, মন দুটোই সজীব করে তোলে। নারীদের জন্যও কার্ডিয়ো খুব প্রয়োজন। হাঁটা, জগিংয়ের বাইরে অ্যারোবিক্সের ক্লাসে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। এতে শরীর-মন ঝরঝরে হবে। ত্বকও থাকবে সুন্দর ও মসৃণ।

 

 

ইত্তেফাক/আরএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন