চা-শ্রমিক ইউনিয়ন গত শনিবার থেকে দেশের ১৬৭টি চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে। দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে তারা আন্দোলনে নামে। সংকট নিরসনে গতকাল মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী চা-শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে কোন সমঝোতা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
বৈঠকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আগামী ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত রাখার দাবি জানালেও চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তা মানতে রাজি হননি। তারা আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনা চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম জানান, চা শ্রমিক ইউনিয়ন দাবিনামা উত্থাপন করেছে। আগামী ২৩ আগস্ট শ্রম অধিদপ্তর, চা-বাগান মালিক ও শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। সে সময় পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের অনুরোধ করা হলেও শ্রমিকরা তা মানেনি। তিনি বলেন, আলোচনায় থাকাবস্থায় ধর্মঘট শ্রমআইনের পরিপন্থি। এখন চায়ের ভর মৌসুম। কাঁচা পাতা নষ্ট হলে শ্রমিকদেরই বেশি ক্ষতি হবে বলে তার আশঙ্কা।