বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নোবিপ্রবিতে ‘বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা’ শীর্ষক আলোচনা সভা   

আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২২, ১৮:৩২

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের আয়োজনে এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে জাতির পিতার ওপর বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল। 

সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ও  মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক এনায়েত হোসেন।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের  শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন, যা বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ সোনার বাংলা গড়তে হলে আগে সোনার মানুষ গড়ে তুলতে হবে। একজন সৎ  ও আদর্শবাদী নেতার উজ্জল দৃষ্টান্ত আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’ জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।’

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল জাতির পিতার শিক্ষা ভাবনা ও শিক্ষা দর্শন এবং রাষ্ট্রনীতিতে তার প্রয়োগ নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন বাঙালি জাতিকে সমৃদ্ধ করতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য স্বাধীনতার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে গঠন করেন ড. কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন। বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ ছিল শিক্ষা খাতে। সোনার বাংলা পরিনত করার প্রধান সোপান হচ্ছে শিক্ষা, একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু দেশজ সংস্কৃতির সাথে শিক্ষার সংযোগ সাধন করেছিলেন। তিনি বিশ্ব মানবের মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানেও বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। সেখানে এদেশে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, এবং শিক্ষাকে সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য সমান অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।’

ইত্তেফাক/এআই