বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পূজায় বেড়েছে সোনা পাচার

আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:১৮

পশ্চিম সীমান্ত পথে ভারতে সোনা পাচার বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আগের তুলনায় সোনা পাচার বেড়েছে। মূলত দুর্গাপূজা সামনে রেখে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভরি বা গ্রাম নয়, কেজি কেজি সোনা ধরা পড়ছে এপারে বিজিবি এবং ওপারে বিএসএফের হাতে। তা-ও লাগাম টানা যাচ্ছে না সোনা পাচারের। সোনা পাচারকারীরা বার বার কৌশল বদল করছে। 

বিজিবির খুলনার ২১ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল তানভির রহমান জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার ব্যাটলিয়নের অধীন সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ২৩ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, সোনা পাচারকারী সিন্ডিকেটগুলো ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।  শীর্ষ এক সোনা চোরাচালানির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন,  তার একারই ৪৭ কোটি টাকা মূল্যের সোনা ধরা পড়েছে। তিনি জানান, ভারতে পূজার আগে সোনার চাহিদা বেড়ে যায়। এ কারণে চোরাচালানিরা সোনা পাচারে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

বিজিবির যশোর ৪৭ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, তার ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারকালে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩৫ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, সোনা শরীরে লুকিয়ে বহন করা যায়, সুনির্দিষ্ট খবর ছাড়া উদ্ধার করা যায় না। তবে চোরাচালান রোধে বিজিবির অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক বলেন, তার ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত এলাকা থেকে ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ কেজি ১৭০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। বিজিবির ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, সোনা পাচারের মূল পান্ডারা ঢাকা থেকে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। আর ক্যারিয়াররা নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে সোনার চালানগুলো সীমান্তে পৌঁছে দেয়। এখন মোটরসাইকেল যোগে সোনা পাচার চলছে। যারা ধরা পড়ছে তারা মোটরসাইকেল করে সীমান্তের নির্দিষ্ট পয়েন্টে পৌঁছাচ্ছে।

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা যায়, গত ৭ জুলাই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গুনার মাঠ থেকে  প্রায় ৪২ কেজি ওজনের ৩২১টি সোনার বার উদ্ধার করে বিএসএফ। নৌকা করে ইছামতি নদী পার হয়ে সোনার বারগুলো ভারতে পাচার হচ্ছিল। তবে পাচারকারিরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।  ১ সেপ্টেম্বর শার্শার রুদ্রপুর সীমান্ত থেকে ৯টি সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ২ কেজি ৩৩৩ গ্রাম।  একই দিনে  শার্শা উপজেলা জামতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পাচারকালে ৩০টি সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ৫ কেজি ২১৫ গ্রাম। টাকার অঙ্কে যার দাম ৭ কোটি টাকা। ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার মামাভাগ্নে সীমান্ত থেকে ২১টি সোনার বার উদ্ধার করে বিএসএফ।

ইত্তেফাক/ইআ