সাভারের আশুলিয়ায় এক চিকিৎসকের ফ্ল্যাট থেকে নুসরাত মীম ওরফে কুলসুম (২৬) নামে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কুলসুম গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ফিরোজ আলম (৩১) নামের অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থী নুসরাত মীম ওরফে কুলসুম বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার দেহেরগতি গ্রামের মৃত শাহজাহান তালুকদারের মেয়ে। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত চিকিৎসক ফিরোজ আলম ঢাকা জেলার দোহার থানার রাধানগর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। নিহত মীমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
পুলিশ জানায়, নিহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পড়াশুনার পাশাপাশি স্থানীয় একটি তৈরি পোশাক কারখানার মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করতেন। এসময় সেখানকার মেডিক্যাল অফিসার ফিরোজ আলমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক চলাকালেই গত ছয় মাস আগে ফিরোজ আরেকজন চিকিৎসককে বিয়ে করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ আলম পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে নুসরাত মীম ওই চিকিৎসক ফিরোজের ফ্ল্যাটে ছুটে যান। এসময় ফিরোজের স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দরজা আটকে ঘরের সিলিং এর সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন মীম।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত নুসরাত মীমের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মীমের ভাই বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।